বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনায় উঠে আসা প্র’তিবা’/দী অভিনেত্রী পরীমনি। সিনেমা ও ব্যক্তিজীবন উভয় ক্ষেত্রেই তিনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। তবে আলোচনায় আসার পর এই তারকা-মডেলের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নেটিজেনদের কৌতূহলের মাত্রাটা খুব বেশিই! তবে সমালোচকদের সমালোচনা ও ক’টু’/ক্তি বা অ’প’মান জনক মন্তব্য পদদলিত করে সাহসী পদক্ষেপে উড়ে বেড়াচ্ছেন পরী।
জন্মদিন সবসময়ই পরীর কাছে বিশেষ একটি বিষয়। তিনি প্রতি বছর দিনটি বেশ জাকজমক এবং আড়ম্বরপূর্ন পরিবেশ উদযাপন করেন। এবারও তার কোনো ধরনের ব্যতিক্রম ঘটেনি। নাচ-গানের মাধ্যমে নিজেকে ও প্রিয়জনদের মা’তিয়ে রাখেন অভিনেত্রী। তার ব্যতিক্রমী পোশাক পার্টিতে আগত অতিথি এবং নেটিজেনদের নজর কেড়েছে। সমা’লোচনা থেকে বাদ যায়নি নাচের ছলে উড়ে বেড়ানো পরীও।
জন্মদিনে পরীমণির বিশেষ পোশাকে ধুমছে নাচ এবং সেই ভিডিও ভা’ইরাল হলে নেটিজেনদের মধ্যে তী’ব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। কেউ পরীর সাম্প্রতিক কার্যক্রমকে ‘সাহসী’, ‘উচিত জবাব’ বলছেন। আবার কেউ একে বলছেন ‘বেলাল্লাপনা’। এমনকি জন্মদিনের পোশাক নিয়ে ট্র’লের শি’/কা’র হয়েছেন এই চিত্রনায়িকা।
হার মানার মেয়ে নন পরী। আর তাই সব সমালো’চনার কড়া জবাব দিয়েছেন তিনি। জন্মদিনের সন্ধ্যার নাচের ভিডিও নিয়ে সমালো’চনার জবাব দিয়েছেন সকালের ভিডিও প্রকাশ করে। নিজের জীবনের বিশেষ দিনটির সকালে গাজীপুরের একটি এতিমখানায় শি’/’শুদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন । তাদের সঙ্গে কেক কেটে, তাদেরকে গিফট দিয়ে আনন্দের জোয়ার বইয়ে দেন এই অভিনেত্রী।
পরীর সেই ভিডিওতে দেখা যায়, এতিম শি’/’শুদের লাল শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে লাল চুড়ি পরেছেন পরী। এতিম শি’/’শুদের মাথায় বাহারি রঙের টুপি, মুখে মিষ্টি হাসি। সবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নায়িকাও মাথায় পরেছেন জন্মদিনের সাদা টুপি। লাল-সাদা রঙের পাঁচটি কেক কেটে শি’/’শুদের মুখে তুলে দিচ্ছেন তিনি। কেক কাটার সময় হ্যাপি বার্থডে গানে পরীমণিকে শুভেচ্ছা জানায় শি’/’শুরা।
জবাবের এখানেই শেষ নয়। একটু পেছনে ফিরে তাকালেই দেখা যায়, গত বছর পরীর জন্মদিনের আয়োজনে ময়ূরের আদলে নির্মিত হয়েছিল পুরো মঞ্চ। নায়িকার পোশাকেও ছিলো ময়ূরের ছোঁয়া। সেই আয়োজনে আগত সাংবাদিকদের কাছে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করার সময় ইংরেজিতে ময়ূরকে ‘পিকক’ বলতে গিয়ে ভুল করে ‘ককপিট’ উচ্চারণ করেন। সেটি নিয়েও আলোচনা কম হয়নি। আর তাই এবারের আয়োজনে বিমানের ককপিটের আদলে সাজানো হয়েছিল পরীর জন্মদিনের মূল মঞ্চ। ওপরে লাইট বসানো ইংরেজিতে লেখা ‘ফ্লাই উইথ পরীমণি’ অর্থাৎ ‘পরীমণির সঙ্গে ওড়ো’। জন্মদিনের রাতে বিমানবালার বেশে ককপিটে আসেন পরীমণি।
এবারের জন্মদিনের পুরো অনুষ্ঠানে ছিল অভিনবত্ব। আমন্ত্রণপত্রেও ছিল সৃজনশীলতার ছাপ। বিমানের বোডিং পাসের আদলেই তৈরি করা হয়েছিল সেই নিমন্ত্রণপত্র। তাতে স্পষ্ট করেই সেখানে লেখা ছিল ‘বিশুদ্ধ হৃদয়ে’র কাছের বন্ধুরাই অনুষ্ঠানে যেতে পারবেন।
অভিনেত্রী ও মডেল পরীর সাহস ও প্রতিবাদের ভাষা চমৎকার। এর থেকে মধুর প্রতিশোধের ভাষা আর নেই। নিষিদ্ধ দ্রব্যের মাম’লায় জামিনে মুক্ত হওয়ার পর পরী সাদা টি-শার্ট ও মাথায় সাদা পাগড়ির মতো করে কাপড় জড়িয়ে ছিলেন। জামিনের সকল ধরনের প্রসেস শেষ করার পর কা’রা/গার থেকে বের হয়ে তিনি একটি ছাদখোলা গাড়িতে চড়েন এবং অনেকটা বিজয়ের বেশে জনতার উদ্দেশে হাত নাড়াতে নাড়াতে চলে যান। তার হাতের তালু ছিল মেহেদিতে রাঙা এবং সেখানেও ছিল বার্তা- ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’। লেখার নিচে তিনি হাতের মধ্যমা আঙুল দেখিয়ে একটি চিহ্ন আঁকেন। পরে তিনি ফের যখন আদালতে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন সেই সময় তার হাতের তালুতে মেহেদি দিয়ে একটি নতুন লেখা দেখা যায়। এগুলো আর কিছু ছিল না, ছিল পরীর প্র’তি/বাদের বার্তা।