বর্তমান সময়ে রাজনৈতিক বক্তৃতায় একটি স্লোগান বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে আর সেটি হলো- ‘খেলা হবে’। নারায়ণগঞ্জের আলোচিত নেতা শামীম ওসমান তার বক্তৃতায় এই একটি শ্লোগান দিয়ে থাকেন। তবে শুধু শামীম ওসমান নয় এই স্লোগানটি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাজ্য প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতায় বলতে শোনা যায়। এবার এ ধরনের বক্তৃতা দিতে শোনা যাচ্ছে আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি একাধিক সমাবেশে ‘খেলা হবে’ বলে বিএনপিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। স্লোগানটি ইতিমধ্যেই গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
বুধবার (৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী এ স্লোগানের ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, এটা একটা পাবলিক হিউমার। এমনকি যে শি’শুটি রাস্তায় ফুল বিক্রি করে, সে আমার গাড়ি দেখলেও বলে ‘খেলা হবে’। এটা মানুষ একসেপ্ট (গ্রহণ) করে ফেলেছে।
তিনি বলেন, ভারতের নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্লোগান ছিল ‘খেলা হবে’। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছেন, নরেন্দ্র মোদিও বলেছেন। ‘খেলা হবে’ দিয়ে বক্তৃতা শুরু করেন তাঁরা। সেখানে পুরো নির্বাচনে ‘খেলা হবে’ র আধিপত্য ছিল।
ওবায়দুল কাদের তার ব্যাখ্যায় বলেন, আমরা স্লোগান দিচ্ছি যে বাংলাদেশে অতীতে যারা অপশাসন, লু”টপাট ও ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে তারা যেন আর না করে। খুনিদের পুরস্কৃত করা এসবের বিরুদ্ধে বলি ‘খেলা হবে’। উইকিপিডিয়াও আছে, যেখানে আপনারা দেখতে পাবেন ‘খেলা হবে’। এটি জনপ্রিয়, ব্যঙ্গাত্মক কিছুই নয়।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আপনারা দেখেছেন, আমরা রাজধানীর বাড্ডায় কত বড় সমাবেশ করেছি। তারা এখন পর্যন্ত বাড্ডার সমান সমাবেশ করতে পারেনি। যতই কাঁথা বালিশ নিয়ে বসে যাক। যত বড় বড় পাতিলে খাবার তৈরি করেও বাড্ডায় যে সমাবেশ করেছি বরিশালের ৬ জেলা মিলিয়েও সেই সমাবেশ করতে পারেনি বিএনপি।
উল্লেখ্য, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ বিএনপির সমালোচনা করে বলছে, বিএনপি সব সময় লুটপাটের রাজনীতি করেছে। যার কারণে খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত এবং তার ছেলে তারেক জিয়া বিদেশে পলাতক রয়েছে। একটি রাজনৈতিক দলের নেতারা এমন ধরনের দুষ্কর্ম করে কিভাবে জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারবে।’ এদিকে বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মুক্তির জন্য আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে।