যুগপৎ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানী ঢাকায় মহাসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চায় দলটি। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলটিকে চিঠি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
চিঠিতে জননিরাপত্তার স্বার্থে বিএনপির কাছে ৭টি বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। গত ২৫ অক্টোবর বুধবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীকে চিঠি দেন পল্টন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন মিয়া। আগামী ২৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবারের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২৮ অক্টোবর দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অনুমতি চেয়ে পাঠানো চিঠি গ্রহণ করা হয়েছে। এই বিষয়ে মতামত দেওয়ার জন্য এবং পরবর্তীতে জননিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য নিম্নলিখিত তথ্য জানা অপরিহার্য।
১. সমাবেশ কখন শুরু হবে এবং কখন সমাবেশ শেষ হবে?
৩. জনসভায় কি পরিমান লোক অংশ নেবে?
৩. নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে সমাবেশটি কোন কোন স্থানে পর্যন্ত বিস্তৃত হবে?
৪. সমাবেশে বক্তৃতা প্রচারের জন্য কোন জায়গায় মাইক স্থাপন করা হবে?
৫. অন্য কোন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা কি সমাবেশে অংশ নেবেন কিনা?
৬. অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সমাবেশ কি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে নাকি? যদি তাই হয়, তার সংখ্যা কত?
৭. জননিরাপত্তার কারণে নয়াপল্টনে অনুমতি দেওয়া সম্ভব না হলে বিকল্প ২টি স্থানের নাম প্রস্তাব করুন।
উল্লেখ্য, ১৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে জনসভা থেকে ঢাকায় মহাসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। দলের একাধিক সূত্রে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, ২৮ অক্টোবর সাধারণ সভার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। রাজধানীর নয়াপল্টনের আশপাশে। সমাবেশস্থল নিয়ে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অনিশ্চয়তা ও প্রতিবন্ধকতা তৈরি হতে পারে ভেবে প্রস্তুতি শুরু করেছে দলটি। তবে এই সমাবেশকে ঘিরে সংঘাতে না জড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।