নুরুজ্জামান আহমেদ হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় সমাজকল্যাণমন্ত্রী। তিনি লালমনিরহাট-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সম্প্রতি জানা গেল সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ তার এক বক্তব্যে বলেছেন নিষিদ্ধ দ্রব্য রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার এখনি সময়।
নিষিদ্ধ দ্রব্য প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। সামাজিক পরিবেশকে কোনোভাবেই বিঘ্নিত করা যাবে না। এখন সময় নিষিদ্ধ দ্রব্যের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার। ভার্চুয়াল কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এ কথা বলেন।
সোমবার (২০ জুন) লালমনিরহাটে নিষিদ্ধ দ্রব্যের অপব্যবহার রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় মাদকের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আগামী দিনের শিশুদের মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে নিষিদ্ধ দ্রব্যেকে ঘৃণা করতে হবে। নিষিদ্ধ দ্রব্য প্রতিরোধে শুধু সরকার ও প্রশাসনের ওপর নির্ভর করলে হবে না। সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিষিদ্ধ দ্রব্য প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন ও নিষিদ্ধ দ্রব্যে নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, নিষিদ্ধ দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মেডিকেল রিহ্যাবিলিটেশনের পরিচালক ডা. মাসুদ হোসেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি, ১৫ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের মেজর আসিফুর ইসলাম সিদ্দিক, রেলওয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থাপক শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ, ক্যাপ্টেন (অব.) আজিজুল হক বীরপ্রতীক, সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় প্রমুখ।
কর্মশালাটি পরিচালনা করেন জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক খায়রুল বাশার। কর্মশালায় নিষিদ্ধ দ্রব্য প্রতিরোধে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে মতামত নেওয়া হয়। এ সময় জেলার পাঁচ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষক, ইমাম, পুরোহিত ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, নিষিদ্ধ দ্রব্য এমন একটি জিনিস যেইটা নিমিষেই ধ্বংস করে দিতে পারে যেকোনো দেশের যুব সমাজকে। নিষিদ্ধ দ্রব্যে একবার আসক্ত হয়ে পড়লে তার আর শেষ রক্ষা হয় না, একমাত্র প্রয়ানই শেষ ঠিকানা হয়ে থাকে। তবে মানুষ বুঝেও পা দেয় প্রয়ান ফাঁদে।