প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বসে পরিস্থিতি শান্ত করার নির্দেশনা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের দলীয় সভা শেষে শুক্রবার রাতে গণভবন থেকে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
বৈঠকে বলা হয় সর্বোচ্চ সহনশীলতা দেখিয়ে চলমান পরিস্থিতি শান্ত করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বসবে এই তিন নেতা। এজন্য আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও অপর কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি। তবে এই দলে ১৪ দলীয় জোটের সিনিয়র নেতাদের যুক্ত করাও হতে পারে।
জানা গেছে, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে দেশে-বিদেশে প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখে পড়ছে ক্ষমতাসীন দল। এ অবস্থায় তাড়াহুড়ো করে কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে সাবধানে পদক্ষেপ নিতে চায় দলটি। তারা কোনো উসকানিতে পা না দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে চায়।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানান, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আওয়ামী লীগের কোনো আপত্তি নেই। তবে তৃতীয় পক্ষ যাতে তাদের ব্যবহার করে সুবিধা পেতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেন দলীয় সভাপতি। ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মোকাবেলা করতে বলেছেন। পাড়া-মহল্লায়ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কেউ যেন অন্যায় আচরণ না করে সে নির্দেশও দেন তিনি।
তারা আরও বলেন, আমরা দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই। দেশের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমদানি-রপ্তানি। এরই মধ্যে তাদের দাবি অনুযায়ী কোটা সংস্কার করা হয়েছে। হতাহতের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর যথাযথ বিচারও হবে। সরকার তাদের কথা শুনবে।
এদিন দলটির সভাপতি ছাড়াও এতে অংশ নেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুর নাহার চাপা, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) চলমান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সারাদেশে গণসমাবেশ করেছে। র্যালিতে কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষক, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশ নেন।