Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / সভাপতি হিসেবে নেত্রীই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন : কাদের

সভাপতি হিসেবে নেত্রীই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন : কাদের

আওয়ামীলীগ সরকারের সাথে ভারতের সুম্পর্ক আজ থেকে নয় স্বাধীনতার পর থেকে। শুধু স্বাধীনতা যু/দ্ধে সহযোগিতা নয় অনেক গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে ভারতে বাংলাদেশের পাশে থেকেছে। তবে কিছু ব্যাপারে দ্বিমত থাকতেই পারে সেগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব বলে জানান আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পদক ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরে ‘পারস্পরিক’ স্বার্থে নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং কিছু বিষয়ের সমাধান হয়েছে। বাংলাদেশ যা যা চেয়েছে ভারত সবই দিয়েছে মন্তব্য করে যা বললেন আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পদক ওবায়দুল কাদের।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে বাংলাদেশ যা যা চেয়েছে, ভারত সবই দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ভবিষ্যতে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে অভিন্ন সমস্যাগুলোরও সমাধান হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সংলাপে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। সচিবালয়ের মিডিয়া সেন্টারে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে বাংলাদেশ কিছুই পায়নি, বরং দিয়েছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সরকারের সময়ে খালেদা জিয়া তো বারবার ভারত যাননি, একবার সফরে গিয়েও আমাদের আসল কথা, গঙ্গার পানি চুক্তির কথা বলতে পারেননি। বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, ভুলেই গিয়েছিলাম। যারা এই ধরনের সংবেদনশীল বিষয় ভুলে যান তাদের জন্য এই শব্দগুলি উপযুক্ত নয়। শেখ হাসিনা কিছুই ভোলেন না। এবার তিস্তা হয়নি, কুশিয়ারা হয়েছে। সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। আমরা খালি হাতে ফিরে আসিনি।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমি তো একটাতেই খুশি। কেন? বর্তমান সংকটে আমরা যা দেখছি, আমাদের জনগণকে বাঁচাতে হবে। বর্তমান সঙ্কট মোকাবেলায় আমরা যা চেয়েছি তার সবকিছুই দিয়েছে ভারত। কুশিয়ারা হয়েছে তিস্তাও হবে। ভারত অস্বীকার করেননি আর শেখ হাসিনাও ভুলে যাননি তিস্তার কথা বলতে।পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কিছু স্বার্থ রয়েছে, সেটা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অগ্রগতি হচ্ছে। আমি আশা করি অদূর ভবিষ্যতে সেটাও হবে। আমি মনে করি এখন যা পেয়েছি তাই যথেষ্ট।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেছেন, বিএনপি ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নষ্ট করেছে। বিএনপির তো পুরোপুরি না পাওয়ার হতাশা। আমরা হতাশ নই। বন্ধুত্ব মজবুত হয়েছে।২১ বছর আপনারা দেয়াল তুলেছেন। দেয়াল তুলেছেন ভারতের সঙ্গে। সম্পর্কে সংশয় আর অবিশ্বাসের দেয়াল। সেই দেয়াল আমরা ভেঙে দিয়েছে। সেজন্য সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন হয়েছে, শান্তিপূর্ণভাবে ছিটমহল বিনিময় হয়েছে যেটা পৃথিবীর কোথাও হয়নি। না পাওয়ার হতাশা আপনাদের মধ্যে আছে কারণ আপনার ভুলেই যান আসল কথা বলতে। আমরা বন্ধুত্ব চাই। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলে সব সমস্যার সমাধান হবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, মন্ত্রীর কোনো বয়স নেই। আবুল মাল আবদুল মুহিত ৮০ বছর পার হওয়া পর্যন্ত অর্থমন্ত্রী ছিলেন। রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে তিনি মন্ত্রী ছিলেন। রাজনীতির কোনো সময়সীমা থাকা উচিত নয়, যতক্ষণ তিনি সক্ষম, ততক্ষণ তিনি করবেন। তিনি যদি মনে করেন আমি অবসর নিতে চাই, তাহলে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন। তার মতামত জানানোর পর, দল যদি মনে করে তাকে অবসর দিতে পারে। তাকে সম্মানসূচক উপদেষ্টার পদ দেওয়া হতে পারে। সারা জীবন রাজনীতি করে কেউ শেষ বয়সে যদি রাজনীতি করতে না পারেন তাহলে তো মৃত্যুর আগেই মরে গেল। সভাপতি হিসেবে নেত্রীই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন, তিনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটিই কার্যকর হবে।

আওয়ামী লীগের তৃতীয় মেয়াদের এই মন্ত্রিসভা কিছুটা দুর্বল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের মন্ত্রিসভায় যারা আছেন তারা দুর্বল নন। ত্রুটি থাকতে পারে। কিছু দুর্বলতা থাকতে পারে। তবে মন্ত্রিসভা দুর্বল নয়। কিন্তু কোনো কাজই বন্ধ নেই। মন্ত্রিসভা রদবদল প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। আপনারা মিডিয়ায় লিখছেন, এটা প্রধানমন্ত্রীর নজরে আছে। তিনি খোঁজখবর নিচ্ছেন। সে সিদ্ধান্ত নেবে।

আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইসির সঙ্গে সংলাপে তিনশ’ আসনে ইভিএম চেয়েছি। গত নির্বাচনে আমরা চেয়েছিলাম, এবারও বলেছি ৩০০ আসনে ইভিএম চাই। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কমিশন যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটিই ঠিক।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে কোনো চ্যালেঞ্জ আছে কি না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা রাজনীতিতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আছি, গণতান্ত্রিক রাজনীতি চাই। রাজনীতিতে আন্দোলন আছে, থাকবে। আমরা জনগণের সম্পৃক্ততা চাই। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন এক জিনিস, স/হিংস আন্দোলন জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জনস্বার্থে প্রতিহত করতে হবে। এখানে সাস্প্রদায়িকতার উপাদান আছে, সেটিও অতিক্রম করতে হবে। তাই বিএনপিকে বলছি, আমরা তাদের প্রতিপক্ষ ভাবি কিন্তু তারা আমাদের শত্রু মনে করে। আমরা অনেক সহ্য করি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গায়ে পড়ে কারও সঙ্গে ঝগড়া করবেন না। কিন্তু আমরা যদি হামলায় আক্রান্ত হই তখন কি আমরা চুপচাপ বসে থাকবো। কর্মীরা কি চুপচাপ বসে থাকতে রাজি হবে?

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন হবে। যথাসময়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সরকারের দায়িত্বও পালন করছি। প্রধানমন্ত্রীর কতগুলো মেগা প্রকল্পের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হয়েছে। যখন কাজ চলছিল তখন আমি ১৭৯ বার এ সেতু পরিদর্শনে গিয়েছি। কালনা সেতু যেটা প্রধানমন্ত্রী মধুমতি সেতু নাম দিয়েছেন সেটার কাজ এ মাসেই শেষ হবে।

তিনি বলেন, রাজধানীতে মেট্রোরেল উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত এ বছরের ডিসেম্বরে উদ্বোধন হবে। দ্বিতীয় ফেস মতিঝিল পর্যন্ত আগামী বছরের ডিসেম্বরের আগেই উদ্বোধন হবে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু টানেলের দুইটি টিউবের একটি এ বছরের নভেম্বরের শুরুতে উদ্বোধন হবে। দ্বিতীয়টি নভেম্বরের শেষ অথবা ডিসেম্বরের শুরুতে উদ্বোধন হবে। এ মুহূর্তে ২৭টি সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সেগুলো উদ্বোধনের অপেক্ষায়।

প্রসঙ্গত, দেশের জনগণের স্বার্থে সব ধরনের কর্মকান্ডে পরিচালনা করছে সরকার বলে মন্তব্য করেন আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সরকার দেশের কথা চিন্তা করে বলেই আজ দেশের মানুষ সুখে শান্তিতে থাকতে পারছে।

About Babu

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *