আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠ ও নিরেপক্ষ করতে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহন প্রয়োজন। সকল দল অংশগ্রহন না করলে নির্বাচন গ্রহনযোগ্য হবে না। তবে বিগত দুটি সংসদ নির্বাচন নিয়ে যে আস্থাহিনতার সৃষ্টি হয়েছে তা ফেরানো কষ্ট সাধ্য বলে মন্তব্য করেন সিইসি। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রনের মাধ্যমে সুষ্ঠু ও নিরেপক্ষ করা চ্যালেঞ্জে হবে বর্তমান ব্যবস্থায় এমনটায় মন্তব্য করেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। নির্বাচনে সরকারের সহায়তা নিয়ে যা বললেন সিইসি।
নির্বাচনে মূল বিরোধী দল অংশ না নিলে তা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয় না বলে মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ডেমোক্রেসির মূল কথাই হচ্ছে পজিশন এবং অপজিশন। আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে যেটা দেখি সেটা কিন্তু গভমেন্ট নয়। তারপর জয়ী হয়ে যেটা পার্লামেন্টে আসে দ্যাট ইজ পার্ট অব দ্য গভমেন্ট, লেজিসলেটার। লেজিসলেটার কিন্তু বিরোধী দলে যারা থাকেন তারা ট্রেজারি বেঞ্চ।
সোমবার (১৩ জুন) টিআইবি প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, আগামী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন উদ্যোগ নেবে। এ বিষয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে সবকিছু করা হবে। নির্বাচনের সময় যে সরকার থাকে সেটাই নির্বাচনকালীন সরকার।
নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই সময়ে যে সরকার থাকবে সেটাই নির্বাচনকালীন সরকার। বিরোধী পক্ষ থেকে যেসব দাবি করা হচ্ছে সে বিষয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই। কিন্তু সেটা আমাদের চিন্তার বিষয় নয়। এটা সাংবিধানিক বিষয়। তারা দেখবেন রাজনৈতিক নেতারা রাজি কিনা। আমার কাছে মনে হয় নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বর্তমানে যে আইন আছে, সেটাই নির্বাচনকালীন সরকার।
সিইসি বলেন, আমি টিআইবি প্রতিনিধিদের বলেছি, বিদ্যমান আইন ও বিধি মেনে সরকার আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে বাধ্য। আমরা সব নির্বাচনে সরকারের সহায়তা চাইব। আশা করি সরকার সহযোগিতা করবে।
তিনি বলেন, সব দেশেই দলীয় সরকারের অধীনেই হচ্ছে। ভারতেও হচ্ছে, বিলেতেও হচ্ছে, আমেরিকাতে হচ্ছে। সরকার কিন্তু সরকার। দল ভিন্ন জিনিস। আমরা যদি এই বিভাজনটা স্পষ্ট করতে পারি, এই মেসেজটা দিতে পারি, যখন কেবিনেট যেটাকে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি থেকে বা প্রধানমন্ত্রী থেকে ডেপুটি, এটাই কিন্তু মূল সরকার। বাকি যারা আছে সেটা কিন্তু আমলাতন্ত্র। তাই তাদের যে সরকার আছে তারা কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী তাদের দায়িত্ব পালনের, সমভাবে আচরণ করার, পক্ষপাতিত্ব না করার শপথ নিয়েছেন।
নির্বাচনে বাণিজ্য চলবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানে কাউকে বাণিজ্যের জন্য এমপি হতে হবে, এমন কিছু না। নমিনেশন এনে যে করেই হোক নির্বাচনে জিততে হবে। তিনি বলেন, এই মানসিকতা থেকে সবাইকে সরিয়ে দিলে আমাদের বর্তমান নির্বাচনী পরিস্থিতি ভালো হবে।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনে সকল দলকে অংশগ্রহন করার জন্য নির্বাচন কমিশন সকল প্রকার চেষ্টা করবে। কিন্তু নির্বাচনকালীন সরকার কে হবে এটা সাংবিধানিক ব্যাপার এটার সম্পর্কে আমাদের বলার কিছু নেই।