বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান ২০১৩ সাল থেকে কলকাতার সিনেমায় কাজ করছেন। জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া হাসানের প্রথম সিনেমা অরিন্দম শীল পরিচালিত একটি সিনেমা আবর্ত। তার জনপ্রিয়তার ছোঁয়া কলকাতায়ও পৌছেছে। এপার ওপার দুই বাংলাতেই তার ভক্তের সংখ্যা বিপুল। তিনি কী করছেন, কার সঙ্গে কথা বলছেন, কী পোশাক পরেছেন তা নিয়ে আলোচনারর কোনো শেষ নেই জয়া ভক্তদের। দুই বাংলার ভক্তরা এখন জয়ার প্রতি নিয়মিত মুগ্ধ।
জনপ্রিয় বাঙালি অভিনেত্রী জয়া আহসান। অভিনয় দিয়ে দুই বাংলার দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। তাই দুই জায়গায় সমানতালে অভিনয় করছেন। বাংলাদেশের অভিনয়ের জন্য তিনি পেয়েছেন সর্বোচ্চ পুরস্কার। তবে বিদেশেও তার সাফল্য কম নয়। সম্প্রতি কলকাতায় জীবনানন্দ দাশের জীবনী নিয়ে নির্মিত ‘ঝাড়া পালক’ ছবিতে কবির স্ত্রী লাবণ্য প্রভা দাশের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। সেখানে আনন্দবাজার পত্রিকার সঙ্গে এই ছবি নিয়ে কথা হয় তার। এখানে তার সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ তুলে ধরা হলো: আপনি আপনার ইনস্টাগ্রামে বিভিন্ন খাবারের ছবি দেখতে পারেন, যেমন চাকমা খাবার।
জয়া: হ্যাঁ, আমি আমার মা ও পরিবারকে সঙ্গে নিয়েছি। বাংলাদেশে একটি গ্রাম আছে। সেখানে এই ধরনের খাবার পাওয়া যায়। খেতে দারুণ। আমার ইনস্টাগ্রাম ভক্তরা কমেন্ট করেছেন দিদি কত খাবেন! প্রশ্ন: আপনি কি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে মন্তব্য পড়েছেন? জয়া: হ্যাঁ পড়েছি। কিন্তু সব না। যে সব ভাল লেখা হয় না। কিন্তু অনেকেই ভালো কিছু লেখেন। কিছু নেতিবাচক মন্তব্য আছে। প্রশ্ন: জীবনানন্দ দাশ একজন মহান ব্যক্তিত্ব, আপনি আবার কবির স্ত্রী। জয়া: হ্যাঁ, কবির বউ হওয়া খুব কঠিন। তিনিও তার মতো কবি। একটু টেনশন ছিল। ব্রাত্যদা বড় মাপের অভিনেতা। নিজের মতো হওয়ার চেষ্টা করেছি। প্রশ্ন: শিল্পীর স্ত্রী হওয়া কঠিন, শিল্পীর স্বামী হওয়া কি এতই কঠিন? জয়া: (হেসে) আমার স্বামী নেই, কী করে বলব! কিন্তু আমি মনে করি স্বামী বা স্ত্রী নয়, সঙ্গী হওয়া সত্যিই কঠিন। শিল্পীদের তাদের জীবনের সমস্ত উত্থান-পতন মোকাবেলাসহ সব করার জন্য একটি শক্তিশালী সঙ্গির প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া হাসানের সঙ্গে ফয়সালের প্রথম দেখা। শুরুর দিকটা হয়েছিল তিক্ততা দিয়ে। ফয়সাল সময়মতো আসতে পারেননি, জয়াকে মেকআপ করে ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করতে হয়েছে। জয়া রাগ করে কথা শোনাতে ভুল করেননি। তবে এই রাগ আবার অনুরাগে পরিণত হতে বেশি সময় লাগেনি। ফোনে কথা বলার সাথে সাথে তারা একে অপরের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। প্রেমে পড়ে ফয়সালকে বিয়েও করেন জয়া হাসান। তবে কেন তাদের ১৩ বছরের দাম্পত্য স্থায়ী হয়নি তা এখনও একটি রহস্য হয়ে রয়েছে।