বর্তমান ক্ষতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটাতে রীতিমতো নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বিএনপি। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জনগণের মাঝে নানা ভুলভ্রান্তি ঢুকিয়ে সকারের পেছনে লেলিয়ে দেয়া হচ্ছে বলেও উঠেছে অভিযোগ। এমনকি কথা বলার অধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে বলেও মিথ্যা অভিযোগ তুলছে বিনপি।
তবে এব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “সব কথা বলার পর কেউ যদি বলে যে আমাকে কথা বলতে দিল না, তার কি জবাব আছে।”
যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে আমেরিকান বার্তা সংস্থা ভয়েজ অব আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিএনপির উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
এই সময়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী দশ বছরে বাংলাদেশের সামনে কী কী চ্যালেঞ্জ রয়েছে? এই প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০০৭ সালে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়, তখনও আমি গৃহবন্দি ছিলাম। আমি সময় নষ্ট করিনি। ভেবেছি পরিস্থিতি অনুকূলে আসলে অর্থাৎ ক্ষমতায় গেলে আমরা কী করবো। আর তাই আমি ভেবেচিন্তে নোট করা শুরু করলাম, যে কোন কোন কাজ গুলো কীভাবে করবো। অবশেষে ২০০৮ সালে, তারা নির্বাচন করতে বাধ্য হয়েছিল এবং আমরা ২০২১ সালকে লক্ষ্য জন্য আমাদের পরিকল্পনা করেছিলাম। এর পরে ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় থাকার কারণে আমাদের উন্নয়ন অব্যাহত ছিল।
কাজের ধারাবাহিকতা ধরে রাখাটাই চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ ছাড়া ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধও একটি চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ আমাদের অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি করেছে। কিন্তু আমরা থামছি না।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্প সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “১৯৯৭ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পর সেন্ট মার্টিনে বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। কিন্তু সেখানে বিশেষ কোনো জমি ছিল না। কিন্তু সে সময় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা এগিয়ে আসেন, তারা জমি দেন, আমি বাড়ি তৈরির ব্যবস্থা করি। ওই সময় স্বামী-স্ত্রী উভয়ের নামে ওই বাড়িগুলোর মালিকানা দিয়েছিলাম। সেক্ষেত্রে এইভাবে আইন করা হয়েছিল যে, কোনো সমস্যা হলে স্ত্রীরা সেই বাড়িতে অধিকার পাবেন। কারণ আমাদের সমাজে অনেক সময় ছেলেরা বিয়ে করে স্ত্রীকে ছেড়ে চলে যায়, তখন সন্তানসহ স্ত্রীরা বিপদে পড়ে। আমি যদি মেয়েদের নামে মালিকানা দিতাম তাহলে আবার প্রশ্ন উঠত, সেজন্যই সমান অধিকার দিয়েছি। কিন্তু পরবর্তীতে এই প্রকল্পে তেমন বাধা আসেনি। এই প্রকল্পটিও প্রায় শেষের দিকে। ”
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশ ও দেশের মানুয়ের জীবনমান উন্নয়নে রীতিমতো কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার। আর এই ধারা যেন আগামীতেও অব্যহত থাকে, এমনটাই প্রত্যাশা সবার।