জায়েদ খান ও ইলিয়াস কাঞ্চন হলেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পী। তারা দুজনই খুব পরিচিত মুখ। ইলিয়াস কাঞ্চন বাংলা চলচ্চিত্রের একজন খুব জনপ্রিয় নায়ক। তিনি তার অসাধারণ অভিনয়ের প্রতিভা দিয়ে জয় করে নিয়েছেন কোটি দর্শকের হৃদয়। সম্প্রতি জানা গেছে জায়েদ খান ইলিয়াস কাঞ্চণের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন ইলিয়াস কাঞ্চন অন্যায়কে সমর্থন করছেন।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থা জারি করেন আদালত। তবে এরই মধ্যে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন অভিনেত্রী নিপুণ।
সম্প্রতি শিল্পী সমিতির মাসিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নতুন কয়েকজন অভিনেতাকে পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। সভাপতি হিসেবে পরিচয়পত্রে স্বাক্ষর করেন ইলিয়াস কাঞ্চন। নিপুন আক্তার সাধারণ সম্পাদক পদে স্বাক্ষর করেন।
হতাশা প্রকাশ করেছেন অভিনেতা জায়েদ খান। তিনি বলেন, ‘অবৈধ নিপ্পন আবার কার্যক্রম শুরু করেছে। তিনি বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন। কিন্তু এখনও আমাদের মামলার সমাধান হয়নি। একজন গুরু যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন না। আইন মানা একজন শিল্পীর নৈতিক দায়িত্ব।
তিনি বলেন, “এবার নিপুণ আইনের তোয়াক্কা না করে চরম অবিচার করেছে। আর ইলিয়াস কাঞ্চন এই অন্যায়কে সমর্থন দিচ্ছেন। তিনি নিজেই জানেন যে অবস্থান স্থিতিশীল হবে।
শুধু তাই নয়, এর আগে তারা যে বৈঠক করেছে তা আমাদের কাউকে জানানো হয়নি। যারা নতুন সদস্য হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন তাদের কার্ড দেওয়া হয়েছে সে বিষয়েও মামলা চলছে। এভাবে শিল্পীদের প্রতি অবিচার মেনে নেওয়া যায় না।
এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেবেন কি না জানতে চাইলে জায়েদ খান বলেন, অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেব। কারণ নিপ্পন আইনের তোয়াক্কা না করে সমিতির সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। আমি আমার আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’
আদালতের চূড়ান্ত রায়ের আগে শিল্পীদের পরিচয়পত্রে কেন স্বাক্ষর করেছেন তা জানতে অভিনেত্রী নিপুণ আক্তারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
এরপর কথা হয় শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক অভিনেত্রী শাহনূরের সঙ্গে। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, যারা চাঁদা দিয়েছেন তাদের পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে। নিপুনের স্বাক্ষর কেন জানতে চাইলে শাহনূর বলেন, এ বিষয়ে আমাদের সভাপতি কাঞ্চন ভাই ভালো বলতে পারবেন।
পরে সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। শিল্পীদের পরিচয়পত্রে দক্ষ স্বাক্ষর কেন? এ প্রশ্নের জবাবে এ অভিনেতা গণমাধ্যমকে বলেন, হ্যাঁ, নিপুণ চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু হাইকোর্ট কি সমস্যার সমাধান করেনি? কাঞ্চন বলেন, আদালত তাকে নিষেধও করেনি।
গত ২৮ জানুয়ারি শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন প্রাথমিক ফলাফলে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। পরে নির্বাচনী আপিল বোর্ডে লিখিত অভিযোগ করেন নিপুন। এরপর সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে জটিলতা শুরু হয়। বিষয়টি এখন আদালতে। কোনো চূড়ান্ত রায়ে পৌঁছানো যায়নি।
প্রসঙ্গত, চলচ্চিত্ত্রের শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে জায়েদ খান ও নিপুনের মধ্যে অনেকদিন ধরেই ঝামেলা হয়ে আসছে। সেই সমস্যার এখনো কোনো সমাধান হয়নি। তবে চলচ্চিত্রের প্রবীণ তারকারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী প্রাড়্ঠীদের সমর্থন করছেন। এতে করে নানারকম আলোচনা ও সমালোচনাও হচ্ছে।