সাবেক অর্থমন্ত্রী ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ আবুল মাল আবদুল মুহিতকে ( Abul Maal Abdul Muhith ) সম্মাননা দেওয়া হয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশনের পক্ষথেকে। মুহিতের ( Muhith ) আজীবন কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে গুণীশ্রেষ্ঠ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ( Wednesday evening ) ৭টায় সুরমা নদীর তীরে চাঁদনীঘাটে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ৮৮ বছর বয়সি সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত সিলেট শহরকে নিয়ে অনেক সৃতিচারন মুলক বক্তব্যে প্রদান করেন।
সিলেট সিটি করপোরেশনের সর্বোচ্চ পুরস্কার পেয়ে গর্বিত সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আমি সিলেটের একজন মানুষ। প্রাপ্তির নিয়ম আছে। এটাই মনের প্রয়োজন, মহত্ত্বের। যিনি আমাকে সম্মান করেন, আমি সেই মহত্ত্বের কাছে মাথা নত করি। আমার সব ভুলের জন্য আমাকে ক্ষমা করুন।বুধবার সন্ধ্যা ( Wednesday evening )য় সিলেট সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক আজীবন কৃতিত্বের স্বীকৃতি প্রদানে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী আলী আমজাদের ( Ali Amjad ) ঘড়িঘরের সামনে তিনি এসব কথা বলেন। আবদুল মুহিত রাত ( Night ) ৮টায় অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হলে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ( Sylhet Metropolitan Police ) ব্যান্ডদল তাকে অভ্যর্থনা জানায়। মঞ্চে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান মেয়র ও কাউন্সিলরসহ সিসিকের ( Sisik ) কর্মকর্তারা। মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী মেধার স্মারক হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে শতবর্ষী আলী আমজাদের ( Ali Amjad ) ঘড়ির স্বর্ণখচিত রাধাপালিকা হস্তান্তর করেন।
নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য দেন নর্থইস্ট ইউনিভার্সিটির ( Northeast University ) উপাচার্য ড. ইলিয়াস উদ্দিন ( Dr. Elias Uddin ) বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর ( Ariful Haque Chowdhury ) লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিসিকের ( Sisik ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী। আবুল মাল আবদুল মাহিত সংক্ষিপ্ত আনুষ্ঠানিকতায় দীর্ঘ বক্তৃতা দেন। উপস্থিত সবাই মুগ্ধ হয়ে তার বক্তব্যে বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, আমরা ১৪ ভাই-বোন। আপনি জানেন, আমি এই দেশের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষদের একজন। আমি এই বছরের জানুয়ারিতে ৮৮ বছর বয়সী হলাম। আমাকে দীর্ঘায়ু দান করার জন্য মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। এমন ঘটনায় কী বলা যায়? একটি হল প্রস্তুতির কথা বলা। আরেকটি হলো বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে বক্তব্য দেওয়া। আমি দ্বিতীয় পদ্ধতি অনুসরণ করেছি। অবশ্যই, এটি আরও স্মরণীয়। মনে রাখলেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করব।
শৈশবের স্মৃতিচারণে তিনি গ্রামীণ জীবন থেকে নগর জীবনের নানা দিক তুলে ধরেছেন। আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, শৈশবের আনন্দময়, স্বাধীনতার দিনগুলো ছিল খুবই আনন্দের। সেই দিনগুলোর সুখী স্মৃতির জন্য আজ আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। সিলেটের পরিবেশে আমার জন্ম। আমি বড় হয়েছি. এখানে জন্ম নিয়ে আমি গর্বিত। এখান থেকে অনেক জ্ঞানী-গুণীর জন্ম হবে। আজ আমি সিলেট শহরে অতিথি। এটা গর্বের বিষয়। নিজের জন্মভূমিতে এমন সম্মান পেয়ে আমি গর্বিত। সিলেটকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যবাহী স্থান উল্লেখ করে আবুল মাল আবদুল মুহিত আরও বলেন, আমি আমার জন্মভূমির কাছে কৃতজ্ঞ। হযরত শাহজালাল (রহ.) সিলেটে ইসলাম প্রচারের জন্য এখানে এসেছিলেন। আমাদের অধিকাংশই তার মাধ্যমে ইসলাম গ্রহণ করেছে। ধর্ম পালন করে চলেছি। অন্যান্য ধর্মের আনুষ্ঠানিকতা এখানে সমানভাবে পালিত হয়। ধর্মীয় সম্প্রীতির ঐতিহ্য অনেক পুরনো।
তিনি বলেন, আমরা মেয়রকে নগর পিতা বলি। কেন? তিনি আমাদের সকলের অভিভাবক। যদি কোন গোলমাল হয়, সেখানে স্বেচ্ছাসেবক। তিনি আমাদের যত্ন নেন. আমিও ছোটবেলায় স্বেচ্ছায় কাজ করেছি। আমি এখনও মনে করি সুযোগ পেলে আমি স্বেচ্ছাসেবক হতে চাই।
উল্লেখ্য, ৮৮ বছর বয়সী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বর্তমানে অবসরে রয়েছেন। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। সম্প্রতি তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। দীর্ঘ দুই বছর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে সোমবার সন্ধ্যায় সিলেটে আসেন সিলেট-১ ( Sylhet-1 ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল মাল আব্দুল মুহিত।