আগামী অর্থবছর অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকার তার পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সবার জন্য পেনশন ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে। যেটা বাজেট প্রস্তাব উত্থাপনের পর পাস করা হলো। এই সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করার ঘোষণা দিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন এর সময়ে অর্থমন্ত্রী এমন ঘোষনা দেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় আমি সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালুর ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমি ঘোষণা করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত যে, সরকার আগামী অর্থবছরে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তার ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি টেকসই এবং সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর অধীনে বয়স্কদের জন্য বৃদ্ধকালীন সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয়ভাবে একটি সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তনের অঙ্গীকার করেছিলেন।
এর পরে, ২০১৫ সালে, সরকার একটি ব্যাপকভিত্তিক সমন্বিত অংশগ্রহণমূলক পেনশন ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রস্তাব করে। অবশেষে আগামী অর্থবছরে এটি চালু হচ্ছে।
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬০ বছরের বেশি বয়সী সকল নাগরিকের জন্য একটি সার্বজনীন পেনশন স্কিম প্রণয়ন এবং একটি কর্তৃপক্ষ গঠনের নির্দেশ দেন।
পেনশন স্কিমের মৌলিক দিকগুলো তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল নাগরিক এতে অংশ নিতে পারবেন। তবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়টি আমরা পরে বিবেচনা করবো। নাগরিকরা তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে একটি পেনশন অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে।
প্রথমদিকে এই পদ্ধতিতে হিসেবে ঐচ্ছিক করা হবে এবং পরবর্তীতে পেনশন ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করার কথা বলেন। বাংলাদেশের একজন নাগরিক এই ধরনের পেনশন সুবিধা ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত পাবেন। সার্বজনীন পেনশন স্কিমে আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হবে সেটা বয়সের উপর নির্ভর করার মাধ্যমে বেশি বা কম হবে।