Friday , November 22 2024
Breaking News
Home / National / সবার জন্য আসছে স্বাস্থ্য কার্ড, এতে কী লাভ?

সবার জন্য আসছে স্বাস্থ্য কার্ড, এতে কী লাভ?

মানুষের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশেও স্বাস্থ্য পরিচয়পত্র সম্বলিত হেলথ কার্ড চালু হতে যাচ্ছে। জাতীয় পরিচয়পত্রের ব্যক্তিগত তথ্যের মতোই এই কার্ডে আপনার স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত তথ্য থাকবে। প্রথম পর্যায়ে ঢাকা, গোপালগঞ্জ ও মানিকগঞ্জের আটটি প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষামূলকভাবে এ কার্যক্রম চালানো হবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমআইএস বিভাগ ‘শেয়ারড হেলথ রেকর্ড’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি সব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদানের লক্ষ্যে এই উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চালু করেছে। বাংলাদেশের নাগরিকদের স্বাস্থ্য তথ্য সংরক্ষণের জন্য একটি একক প্ল্যাটফর্ম।

বর্তমানে, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থোপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন (NITOR) এবং ঢাকা বিভাগের মানিকগঞ্জ ও গোপালগঞ্জের সকল সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান/হাসপাতাল ঢাকা শহরের রোগীদের স্বাস্থ্য পরিচয়পত্র প্রদানের একটি পরীক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে, শীঘ্রই পাইলট কার্যক্রম শুরু হবে। .

প্রথম ধাপ
স্বাস্থ্য পরিচয়পত্র পাওয়ার জন্য, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন নম্বরের (১৮ বছরের কম) একটি অনুলিপি নিয়ে হাসপাতালে যেতে হবে। পরবর্তীতে তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে এই কার্ড হাতে পাবেন।

এছাড়া খুব শিগগিরই দেশের অন্য সব সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালে এই ডিজিটাল ব্যবস্থা চালু করা হবে। বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালগুলোও শীঘ্রই এই ডিজিটাল ব্যবস্থার আওতায় আসবে।

কেন এই স্বাস্থ্য কার্ড?
১ . বাংলাদেশের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানকে অটোমেশনের আওতায় আনা।
২ . ‘শেয়ারড হেলথ রেকর্ড’ এর মাধ্যমে সমস্ত প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রীয় সংযোগ।
৩ . বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের নিজস্ব ‘স্বাস্থ্য আইডি’ নম্বর থাকবে।
৪ . সঠিক রোগ নির্ণয়
৫ . চিকিৎসা সেবার মান উন্নত করা
৬ . নাগরিকদের অর্থ এবং সময় সাশ্রয়
৭ . চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও সুগম
৮ . সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

কি থাকবে এই কার্ডে?
১ . জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত রোগীদের সমস্ত স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত তথ্য এই ডিজিটাল ডাটাবেসে সংরক্ষিত থাকবে
২ . আগের মেডিকেল ও পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হারানোর ভয় থাকবে না।
৩ . রোগীকে কোনো কাগজ বহন করতে হবে না। সমস্ত তথ্য অনলাইন হবে.
৪ . আপনি শুধুমাত্র স্বাস্থ্য কার্ডের কারণে আপনার প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা পাবেন।
৫ . সমস্ত পরীক্ষার রিপোর্ট আপনার ইমেল ঠিকানায় পাঠানো হবে।
৬ . রোগীরা তাদের ঘরে বসেই অনলাইনে হাসপাতালে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে পারেন।

কিভাবে পাবেন এই হেলথ কার্ড?
সরকার খুব শীঘ্রই স্বাস্থ্য কার্ডের জন্য একটি ডেডিকেটেড ওয়েবসাইট চালু করতে যাচ্ছে। যেখানে আপনি অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে যেকোনো সময় যেকোনো স্থান থেকে স্বাস্থ্য কার্ড পেতে পারেন।

যারা অনলাইনে নিজেদের নিবন্ধন করতে পারেন না?
চিকিৎসা গ্রহণের সময়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদিত যেকোনো সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান এবং হাসপাতালে যান এবং আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন কার্ড দেখান, আপনি নিবন্ধন কাউন্টারে গেলে তারা আপনাকে অল্প সময়ের মধ্যে আপনার কার্ড তৈরি করতে সহায়তা করবে। বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মনোনীত বুথ।

এই কার্ড পেতে কি কি লাগে?
১ . ১৮ বছরের বেশি বয়সী – তাদের শুধুমাত্র জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রয়োজন হবে
২ . ১৮ বছরের নিচে – তাদের জন্ম শংসাপত্র প্রয়োজন।

About Zahid Hasan

Check Also

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সেন্টমার্টিন লিজ দেওয়ার বিষয়ে যা জানালেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি গুজব ছড়িয়েছে যে অন্তর্বর্তী সরকার সেন্টমার্টিন দ্বীপকে লিজ দিচ্ছে। তবে প্রধান …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *