বাংলাদেশের স্বপ্নের স্থাপনা পদ্মা সেতু। নানা বাঁধা-বিপত্তি অতিক্রম করে এই সেতুর কাজ দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামী বছরেই এই সেতু ব্যব হারের জন্য উন্মুক্ত করে ভে। ইতিমধ্যে প্রায় ৭০ ভাগের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সম্প্রতি নতুন করে এই সেতু প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা জানালেন বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
টার্গেটের মধ্যেই পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে। এখন পিচ ঢালাইয়ের কাজ চলছে। সেটা শেষ হলেই শেষ। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এসময় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। বক্তব্য দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। পদ্মা সেতুর বিষয়ে কাদের বলেন, আমাদের কাজ এগিয়ে চলেছে। এখন পিচ ঢালাইয়ের কাজ চলছে। সেটা শেষ হলেই শেষ। আমরা তো অ্যাপ্রোচ আগেই করে ফেলেছি। আমাদের টার্গেটের মধ্যেই পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে। পদ্মা ২০২২ সালের জুনে উদ্বোধন হবে সেটি তো আগেও বলেছি।
নতুন বছরের মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল উদ্বোধন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এগুলো নতুন বছর মানে যে বছর শুরু হতে যাচ্ছে ২০২২ সালে। সময় আমরা আগামী বছর উদ্বোধনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। সময়মতো সময় ঘোষণা করা হবে। নির্দিষ্ট দিন তারিখ সময়মতো শুনতো পাবেন। টার্গেট আমাদের ২০২২ সাল। মন্ত্রী বলেন, সুশৃঙ্খল ও আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সবধরনের সহযোগিতা করা হবে। আমি এর সাফল্য কামনা করি। পর্যায়ক্রমে এ সেবার বিস্তার হবে। আরও নতুন রুট যুক্ত হবে। গোটা ঢাকা শহরকে একটা সুশৃঙ্খল পরিকল্পনার মধ্যে আনতে হবে। আরও ৪২টি রুট করার পরিকল্পনা আছে। মাত্রতো শুরু হলো। ঢাকা সিটি ও তার আশপাশে এই রুট চালু হবে। এর মধ্যে নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ, গাজীপুরও আছে।
খালেদার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে তিনি বলেন, একটা সরকারের নীতিগত কোনো বিষয়ে অনেক মন্ত্রী আছে সবার কথা বলা উচিত না। এখানে দায়িত্ব আইনমন্ত্রী। তিনি যেখান পর্যন্ত বলেছেন আমি তার চেয়ে বেশি বলব না। সেটাই সরকারের বক্তব্য। তিনি যেটুকু বলেছেন আমি সেটুকুতেই রয়েছি, তার বাইরে আমার কোনো বক্তব্য নেই। কারণ তিনি শেখ হাসিনা সরকারের আইনমন্ত্রী। এ বিষয়টা বলার দায়িত্ব তার। তিনি বলেছেন তাই আমি আর বলতে চাই না।
নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতুর কাজ চলছে। অবশ্যে এই সেতু স্থাপনের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের কাছে ঋনের জন্য আবেদন জানিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশকে কোন প্রকার সহযোগিতা করেনি বিশ্বব্যাংক। এমনকি ঋন না দেওয়ার লক্ষ্যে নানা ধরনের অজুহাত দেখিয়েছে। তবে বাংলাদেশের সরকার প্রধানমন্ত্রী সকল বাঁধা অতিক্রম করে সেতুটির কাজ করতে সক্ষম হয়েছেন।