ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা। বাংলার মানুষের স্বাস্থ্যের সার্বিক দুক বিবেচনা করেই তিনি মানবতামূলক এই কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠা করেছেন। আর তার জন্যই মানুষ আজ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে অনেক সুবিধা পাচ্ছে। আজ অনুষ্ঠিত হলো বাংলার মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আর সেই অনুষ্ঠানে যেয়ে তিনি বললেন আজ জীবনের বড় আকাঙ্খা পূর্ণ হলো।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এটা খুবই আনন্দের অনুভূতি। ১৯৭১ সালেও মুক্তিযুদ্ধ করতে পেরেছি। আজ পদ্মা সেতু নিজ চোখে দেখেছি। এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় আকাঙ্খা হয়ে উঠেছে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে লুঙ্গি পরে হুইলচেয়ারে মাওয়া প্রান্তে সভাস্থলে হাজির হন ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। জাফরুল্লাহ চৌধুরী এ সময় তার অনুভূতি ব্যক্ত করে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
বিএনপির আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যানের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। তিনি আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তার জন্য আমি খুশি হয়েছি। আমার মনে হয় খালেদা জিয়াকে আজই আমন্ত্রণ জানানো উচিত ছিল। জামিন পেলেও তার এখানে থাকা উচিত ছিল।” ভালো কাজের প্রশংসা করি, এটা করতেই হবে।’
এ সময় জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমি চাই সে খোলা জিপে পদ্মা সেতু পার হোক। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীসহ তিনজন মুক্তিযোদ্ধা থাকবেন। ‘
পদ্মা সেতু নিজ চোখে দেখে আপ্লুত ও গর্বিত। জাফরুল্লাহ চৌধুরী ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে পেরে তিনি খুশি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ড. জাফরুল্লাহ বলেন, “জাতির এই সাহসী উদ্যোগের জন্য আজ আমি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। তবে আমি প্রধানমন্ত্রীকে আরও উদার হওয়ার আহ্বান জানাই। আমাদের প্রান্তিক মানুষের দিকে তাকাতে হবে। তিনি খুব ভালো কাজ করেছেন। আমি তার মঙ্গল কামনা করছি। স্বাস্থ্য এখন।’
প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতু নির্মঁ হওয়াতে খুশি হয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবেনা। বাংলার মানুষ প্রধানমন্ত্রী জনেনত্রী শেখ হাসিনার কাছে ঋণী থাকেব চিরকাল। এই সেতু বাংলার মানুষের সবার সেতু। বাংলার ১৭ কোটি মানুষের স্বপ্ন আজ বাস্তবে রূপ নিল অবশেষে।