বাংলা ছো্ট পর্দার অন্যতম সেরা অভিনেতা আদিল হোসেন নোবেল। তবে ভক্তদের মাঝে নোবেল নামেই অধিক পরিচিতি লাভ করেছেন তিনি। শুরুতে মডেলিংয়ের মধ্য দিয়ে মিডিয়ায় যাত্রা শুরু করেন গুণী এই তারকা। এরপর বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে কাজের সুবাদে সবার নজরে আসেন তিনি। তিনি মডেলিংয়ের জগতে ‘রাজপুত্র’ নামেও বেশ পরিচিতি পেয়েছেন।
নব্বই দশকের শুরু থেকে এখন পর্যন্তও তাকে কেউ ছাড়িয়ে যেতে পারেননি। তরুণ প্রজন্মের যারা কাজ করছেন সবাই তাকে আইকন হিসেবে দেখেন। আজ এই শীর্ষ তারকার জন্মদিন। ঘড়ির কাটা বারো ছোঁয়ার আগে থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে সহকর্মী ও ভক্তদের শুভেচ্ছা-ভালবাসায় সিক্ত হচ্ছেন তিনি।
সাধারণত জন্মদিন নিয়ে নোবেলের তেমন কোন পরিকল্পনা থাকেনা। তার স্ত্রী-ই দিনটিকে বিশেষায়িত করে তোলেন প্রতিবার। নানান ধরনের আয়োজনে ভরপুর থাকে নোবেলের জন্মদিনটি। তবে এবার একটু নয় অনেকটাই ব্যতিক্রম হচ্ছে নোবেলের জন্মদিনটি।
নোবেল জানালেন, তিনি তার স্ত্রীকে খুশী করার জন্য কানাডা থেকে তার মেয়ে নামীরাকে নিয়ে এসেছেন ১০/১২ দিনের জন্য। নামীরা কানাডাতে ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটিতে গ্র্যাজুয়েশন করছেন। প্রায় দুই বছর পর বাবারই জন্মদিনে মাকে সারপ্রাইজ দিতে নামীরা আজ (২০ ডিসেম্বর) ভোর বেলায় ঢাকার মাটিতে পা রাখেন।
নোবেল বলেন,‘যেহেতু আজ আমার জন্মদিন। তাই নামীরার সঙ্গে কথা বলেই প্ল্যান করি। তার মাকে কিচ্ছু জানতে দেইনি। আমার জন্মদিনে আমার মেয়ে আমাদের পাশে থাকবে, এটাই আসলে অনেক আনন্দের, ভালো লাগার। সবসময়ইতো আসলে আমার সহধর্মিনী আমার জন্মদিনটি বিশেষায়িত করে তুলে। এবার না হয় আমার জন্মদিনে তাকে খুশী করার, সন্তানকে বুকে আগলে নিয়ে পরম শান্তি পাবার কাজটুকু করলাম। জন্মদিনে সবার কাছে দোয়া চাই, আল্লাহ যেন ভালো রাখেন, সুস্থ রাখেন আমাদের সবাইকে। আর সবাই অবশ্যই নিরাপদে থাকার চেষ্টা করবেন। কারণ করোনা’র নতুন ভ্যারিয়্যাণ্ট এসেছে। সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
এদিকে নোবেল নতুন দু’টি বিজ্ঞাপনের কাজ করেছেন। একই প্রতিষ্ঠানের দু’টি ভিন্ন গল্পের ফ্রিজের বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেছেন। বিজ্ঞাপন দু’টিই অনলাইনে এবং বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচার হচ্ছে। এই দুটি বিজ্ঞাপনের আগে তিনি একই পরিচালকের নির্দেশনায় আরো একটি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেছেন।
নোবেল আপাতত নতুন কোন নাটকে কাজ করছেন না। বছরের শেষপ্রান্ত’টা তিনি অফিসিয়াল কাজ নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন। নোবেলের ছেলে জুনাইন আমেরিকার সদ্য ইউনিভার্সিটিতে রূপান্তরিত হওয়া বোডিন ইউনিভার্সিটিতে গ্র্যাজুয়েশন করছেন।
নোবেল বলেন,‘ বর্তমানে আমি রবি’তে চাকরী করছি। শুরু থেকেই আমি আমার চাকরী জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট। চাকরীটা অনেক ভালো লাগা নিয়েই করি আমি। চাকরী করলে নিশ্চিত আয়ের একটি নিশ্চয়তা থাকে। এ কারণে আমার কাছে চাকরীর গুরুত্ব অনেক বেশি ছিলো। এটাও সত্যি বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করার ক্ষেত্রেও আমি একজন পেশাদার মডেল হিসেবেই কাজ করেছি। আলহামদুলিল্লাহ-এখানেও সফল আমি।’
সর্বপ্রথম ‘আজাদ বলপেন’র বিজ্ঞাপনে কাজের মধ্য দিয়ে মিডিয়ায় তার যাত্রা শুরু হয়। তবে মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত থেকেও চাকরি করে যাচ্ছিলেন তিনি। আর এখনও তাই। একদিকে যেমন মিডিয়ায় কাজ করে যাচ্ছেন, অন্যতম চাকরিও করে যাচ্ছেন গুণী এই তারকা।