লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী বলেন, ‘যারা বিদ্রোহী প্রার্থী ট্রাক মার্কারকে ভোট দেবেন, আমি আপনাদের সতর্ক করতে চাই- পাশের গ্রাম-ইউনিয়ন আমার। আমি সবাইকে চিনি। যারা নৌকার বাইরে ভোট দেবেন, তাদের অস্তিত্ব থাকবে না ৭ তারিখের পরে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই- যারা জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলেন। তারা যদি নৌকার বাইরে ভোট করেন। বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে ভোট করেন। তাদেরকে আমি বলবো, তারা জারজ সন্তান, মানুষের সন্তান নয়’।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের প্রার্থীর পক্ষে পৃথক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া বাজার ও কামারহাটে এই পৃথক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছাবির আহমেদ ও থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম চৌধুরীকে একাধিকবার কল দিয়েও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থল ছিলাম না। সভাপতি কি বক্তব্য দিয়েছেন তাও জানা নেই। এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।’
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্মীপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বলেন, ‘নৌকার প্রার্থীর প্রতিনিধি যদি এসব কথা বলে থাকেন, তাহলে বক্তব্যটি উস্কানিমূলক। এটি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে। লিখিত বা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক পিংকু নৌকার প্রার্থী। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে রয়েছেন রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সাত্তার (ট্রাক প্রতীক)।
এ আসনে অন্য প্রার্থীরা হলেন জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ রাকিব হোসেন (লাঙ্গল), বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির মাহাবুবুল করিম টিপু (হাতুড়ি), তৃণমূল বিএনপির মো. নাইম হাসান (সোনালি আঁশ), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির আবদুর রহিম (কাঁঠাল)।
১২ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ আসনটিতে ১২৫ টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এখানে ৪ লাখ ৩ হাজার ৭৪৩ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে ২ লাখ ৯ হাজার ৯০ জন পুরুষ, ১ লাখ ৯৪ হাজার ৬৫২ নারী ও একজন হিজড়া।