বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় একটা মেয়েকে পড়াতাম। আমার ছাত্রীটি তখন সম্ভবত চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ত। তার বালিকাবেলার চঞ্চলতা, অযৌক্তিক দুষ্টুমি, গাল ফোলানো অভিমান এবং কাঁচা কথার ছলনা আমাকে ভীষণভাবে মুগ্ধ করেছিল। তার প্রতি সহজাত ভালবাসা এবং করুণার কারণে আমি তার সমস্ত আচরণ সহ্য করেছিলাম এবং আমার একমাত্র বোন কচির কথা মনে করতাম কারন তার বয়সও প্রায় একই ছিল; যিনি মাত্র দুই বছর বয়সে পানিতে ডুবে মারা যান। তাই একদিন পড়ানোর সময় দেখি ছাত্রিটি আমার গাল ফুলিয়ে বসে আছে। কারণ জিজ্ঞেস করতেই সে তার দুই বিনুনি নেড়ে বলল, আজ সে পড়াশুনা করবে না। তার মেজাজ অত্যধিক উত্তপ্ত এবং রাগে তার অঙ্গ জ্বলে যাচ্ছে।
আমি আমার কণ্ঠে যথাসম্ভব দরদ এবং সহানুভ‚তি ফুটিয়ে তার রাগের কারণ জানতে চাইলাম। সে অনেকক্ষণ অনেক কথা বলেছিল এবং সে যা বোঝাতে চেয়েছিল তা হল আজ বিকেলে তার চাচা-চাচি তাদের বাড়িতে ঝগড়া শুরু করে। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই বুনো ষাঁড়ের মতো মারামারি শুরু করে এবং উভয়কে গালিগালাজ করে। ছাত্রটির মা প্রথমে তর্ক থামানোর চেষ্টা করেছিলেন – কিন্তু যখন লড়াই বাড়তে থাকে, তিনিও কিছুটা ঝগড়া উপভোগ করেন এবং ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে আমার ছাত্রীকে নিয়ে একটি কামরায় গিয়ে চুপচাপ বসে থাকেন। লড়াইরতরা এক সময় ক্লান্ত ও অবসন্ন হয়ে নিজেরাই লড়াই বন্ধ করে দেয় এবং কিছুক্ষণ পর ভান করে যে তাদের মধ্যে কোনো ঝগড়া হয়নি।
চাচা-চাচীদের ঝগড়ার কারণে আমার ছাত্রীর এক দিকে যেমন মেজাজ গরম হলো, তেমনি ঝগড়া-পরবর্তী নেকামি দেখে তার রাগে অঙ্গ জ্বলতে আরম্ভ করল। সব ঘটনা বলার পর সে মন্তব্য করল যে, স্যার আমি ছোট মানুষ! কিছু করতে পারিনি- কিন্তু রাগে আমার অঙ্গ জ্বলে যাচ্ছে। আজ বহু দিন পর বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থা দেখে আমার হঠাৎ করেই সেই ছাত্রীর কথা মনে পড়ল। কারণ চার দিকে এতসব বিচ্ছিরি ঘটনা ঘটছে যা দেখে মেজাজ ঠিক রাখা যাচ্ছে না- আবার নিজের ক্ষুদ্রত্ব, অসহায়ত্ব ইত্যাদি কারণে কোনো বিচ্ছিরি ঘটনার প্রতিবিধান করতে না পারার বেদনায় সর্ব অঙ্গ জ্বলে যাচ্ছে। সারা দেশে তথাকথিত নির্বাচন নির্বাচন খেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। একই দলের লোক একই গোলপোস্ট লক্ষ্য করে রাতের ভোটের অনুকরণে নির্বিবাদে গোল দেয়ার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করে মাঠে নামছে এবং নিজেরা নিজেদের মধ্যে কামড়াকামড়ি করে অসংখ্য আদম সন্তানকে কবর, হাসপাতাল অথবা থানাহাজতে পাঠাচ্ছে।
নির্বাচন নিয়ে যেসব সহিংসতা হচ্ছে তা মানুষকে যতটা না কষ্ট দিচ্ছে তার চেয়েও বেশি কষ্টের কারণ হচ্ছে নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্তাদের কোদাল মার্কা শব্দ বোমার কারণে। তাদের ভাষা-অঙ্গভঙ্গি এমনকি পোশাক-পরিচ্ছদের ঝকমকানি দেখলে মানুষ তো দূরের কথা- নির্বোধ বোবা প্রাণীদের মেজাজও ঠিক থাকে না। নির্বাচনের বাইরে নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি, বাসভাড়া, লঞ্চভাড়া ইত্যাদি বৃদ্ধির পাশাপাশি সড়কে নিত্যনতুন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা এবং সেই দুর্ঘটনা- পরবর্তী দুঃখজনক পরিস্থিতির কারণে দেশের সাধারণ মানুষের কাছে মরে যাওয়ার চেয়ে বেঁচে থাকার আতঙ্কই বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।
ব্যবসাবাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। বড় বড় শিল্প কলকারখানার আশপাশে ঘুরলে মালিক-শ্রমিকদের কান্নার আওয়াজ পাওয়া যায়। দেশের প্রধানতম রফতানি খাত পোশাকশিল্পে হঠাৎ করে কাজ বেড়েছে বটে; কিন্তু পদে পদে হয়রানি, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, বিদেশী ক্রেতাদের অতি মুনাফার লোভ এবং দেশের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এই খাতটি কতদিন টিকবে তা বলা যাচ্ছে না। বাংলাদেশের এক সময়ের তুখোড় রাজনীতিবিদ প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের একটি কথা এখন রাস্তাঘাটে-ঘরবাড়ি-অফিস আদালত ইত্যাদি সব জায়গাতে রীতিমতো আপ্ত বাণীতে পরিণত হয়েছে। সুরঞ্জিত বাবু আওয়ামী লীগের নেতা হওয়া সত্তে¡ও নিজ দলের মধ্যে দুর্নীতিবাজ ও দুর্বৃত্তদের কর্তৃত্ব বোঝাতে গিয়ে বলেছিলেন যে, আজ শুঁটকির হাটে বিড়ালকে চৌকিদার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
সুরঞ্জিত বাবুর উল্লিখিত বক্তব্যের আলোকে যদি আমরা চার দিকে লক্ষ করি তবে দেখতে পাবো যে, সবচেয়ে অভদ্র মানুষটি এখন সমাজকে ভদ্রতা দেখাচ্ছে। ভণ্ড-প্রতারক এবং মাজার ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের নিকট থেকে ধর্মের অমিয় বাণী শুনতে হচ্ছে। বেয়াদব দ্বারা আদবের তালিম এবং দানব দ্বারা মানব পরিচালনার দৃশ্য দেখে সাধারণ মানুষের মানসিক বিকার ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলেছে। যেসব লোকের হাতে ব্যবসাবাণিজ্য ধ্বংস হয়েছে তারা শিল্প বাণিজ্যের অভিভাবক রূপে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। যারা দেশের বিনিয়োগের পরিবেশ ধ্বংস করেছে তারাই আবার বিনিয়োগ বাড়ানোর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর রূপে মানুষের চোখে কর্ণে যন্ত্রণার দানবরূপে হররোজ আঘাত হানছে।
সবচেয়ে বড় চোরগুলো চুরি বন্ধের ম্যানুয়্যাল তৈরির কাজে নিদারুণ ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এবং ডাকাতেরা প্রকাশ্যে সমাবেশ করে নির্বিবাদে ডাকাতি করার আগাম নোটিশ দিচ্ছে। চাঁদাবাজ-গুণ্ডারা তাদের দু’টি চোখকে রক্ত জবার রূপ দিয়ে পাড়া মহল্লায় যমদূতের মতো টহল বাড়িয়ে দিচ্ছে। শহরে চলাচলরত পাবলিক বাসগুলো অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে নিজেদের পাছা অধিক বাঁকা করে পুরো সড়কব্যবস্থায় জট সৃষ্টি করেছে। পাবলিক বাসগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী সারাক্ষণ বিএনপি-জামায়াতের পশ্চাৎদেশে তীক্ষ্ণ নজর রাখতে গিয়ে এতটাই ব্যস্ত সময় কাটান যে, রাজপথে চলাচলকারী গণপরিবহনের পাছা বাঁকা করার দৃশ্য তার নজরে আসে না। ফলে এই যন্ত্রদানব দ্বারা সারা দেশে প্রায়ই প্রতিদিনই নির্মম সব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত।
রাস্তাঘাটের ধুলোবালির উড়ন্ত অবস্থা দেখলে মাঝে মধ্যে বিভ্রান্ত হতে হয় ঘূর্ণিঝড়-কুয়াশা অথবা মরীচিকার হাল-হকিকত সম্পর্কে। ঢাকার বাতাসে বিষের আধিক্য এবং লোকজনের হাঁচি-কাশির প্রতিযোগিতায় মনে হয় হাঁপানি আমাদের জাতীয় রোগ এবং পুরো শহরটি যেন বক্ষব্যাধি হাসপাতালের বর্ধিত অংশ। উন্নয়নের খোঁড়াখুঁড়ি, কাদাবালি-ইট-সুরকি এবং খোলা ড্রেনের ভেতর থেকে বের হয়ে আসা আলকাতরার চেয়েও অধিক ঘন এবং কৃষ্ণবর্ণের পদার্থগুলো যদি কোনো ত্রিবেণীসঙ্গমে একত্র হওয়ার সুযোগ পায় তবে উন্নয়নের জোয়ার কত প্রকার এবং কী কী তা বুঝতে কোনো আদম সন্তানের সামান্য বেগ পেতে হয় না।
দেশের ঘুষ-দুর্নীতির পরিমাণ কী পরিমাণ বেড়েছে এবং ঘুষখোর-দুর্বৃত্তদের দৌরাত্ম্য এবং বেপরোয়া মনোভাব কোন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে তা কেবল ভুক্তভোগীরাই বলতে পারবে। এ ক্ষেত্রে আমি উদাহরণ হিসেবে কয়েকজন ভুক্তভোগীর কাহিনী আপনাদেরকে বলব। প্রথমেই বলছি দেশের প্রবীণ একজন শিল্পপতির কথা। তিনি গত ২৫ বছর ধরে দেশের শীর্ষ একটি রফতানিমুখী প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন। তার বর্তমান বয়স তেহাত্তর বছর।
বছর দুয়েক আগে একটি সভামঞ্চ থেকে পড়ে গিয়ে তিনি কোমরে ভয়ানক ব্যথা পান এবং নিরাময়ের অযোগ্য সেই ব্যথা শরীরে ধারণ করেই তাকে অন্যের সাহায্য নিয়ে চলাফেরা করতে হয়। ভদ্রলোক অসুস্থ শরীর নিয়ে ঢাকা থেকে সাভার গিয়ে তার রফতানিমুখী কারখানার চাকা চালু রাখেন সেখানে কর্মরত হাজারখানেক শ্রমিক-কর্মচারীদের জীবনের চাকা সচল রাখার স্বার্থে। তো এই বয়োবৃদ্ধ ভদ্রলোকের সুনামধারী কারখানায় একবার শুল্ক-গোয়েন্দা বিভাগের লোকেরা গেল। তারা কারখানার পরিবেশ এবং বয়স শুনে ভ‚য়সী প্রশংসা করল এবং ভ‚রিভোজ করতে করতে জিজ্ঞাসা করল- গত পঁচিশ বছরে আপনাদের কারখানার বিরুদ্ধে কি শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ কোনো মামলা করেছে!
কর্মকর্তাদের উল্লিখিত প্রশ্ন শুনে কারখানা মালিকের ভারি গর্ব হলো। তিনি সন্তুষ্টচিত্তে জবাব দিলেন, আমরা সততা-ন্যায়পরায়ণতা এবং স্বচ্ছতা নিয়ে ব্যবসা করি বিধায় কোনোকালে আমাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। অসৎ লোকেরা কারখানা মালিকের সততার বড়াই শুনে রীতিমতো অপমানিত বোধ করলো এবং এতক্ষণ তারা কারখানা মালিকের হালাল পয়সায় কেনা খাদ্য দ্বারা যে পেট ভর্তি করেছিল তা সম্ভবত তাদের হারাম পেট ধারণ করতে পারল না। তারা কারখানা থেকে বিদায় নেয়ার সময় একখানা মামলা দিয়ে হাসিমুখে বললো যে, পঁচিশ বছরে একটি মামলাও হয়নি- এটা ভালো নয়। তাই আপনার ভালোর জন্য ছোট একটি মামলা দিলাম। মনে কিছু করিয়েন না।
শুল্ক-গোয়েন্দার পর এবার আয়কর বিভাগের একটি টাটকা খবর বলি। জনৈক যুবক বয়সী ব্যবসায়ী একদিন আমার সাথে দেখা করতে এলেন। তাকে দেখে বেশ সচ্ছল মনে হলো এবং কথাবার্তা বলার পর বুঝলাম তিনি ব্যবসায়ী হিসেবে বেশ সফল। কথা প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, ফি বছর তিনি তার ব্যক্তিগত আয়কর হিসেবে সরকারকে প্রায় বিশ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। এই বছরও যথারীতি রিটার্ন জমা দিয়েছেন। করোনার কারণে তার ব্যবসাবাণিজ্যে ধস নামলেও কর বিভাগের হয়রানির কথা বিবেচনা করে ট্যাক্সের পরিমাণ একটুও কমাননি। এই দুর্মূল্যের বাজারে তিনি নিয়মিত ট্যাক্স দিয়েছেন এই তথ্য জানার পর তার ফাইলের দায়িত্বে থাকা উপ করকমিশনার পদমর্যাদার একজন কর্তা বিরাট অঙ্কের ঘুষ দাবি করে বসেন। করদাতাকে দুর্বল করার জন্য সেই কর্তা করদাতার ব্যাংক বিবরণী সংগ্রহ করেন এবং গত পাঁচ বছরের লেনদেনের সূত্র উল্লেখ করে ভয় দেখান যে, তিনি একটি বা দুইটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট তার রিটার্নে উল্লেখ করেননি।
করদাতা নিজেদের স্বচ্ছতা এবং সততা প্রমাণের জন্য যত কথা বলার চেষ্টা করেন ততই করকর্মকর্তার রাগ বেড়ে যায় এবং এক সময় তিনি কোন জেলার বাসিন্দা এবং তার কি ক্ষমতা রয়েছে এসব হুমকি দিয়ে করদাতাকে রীতিমতো অপমানিত করে তার রুম থেকে তাড়িয়ে দেন। পরে করদাতার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ডেকে এনে দুই কোটি টাকা ঘুষ দাবি করেন। এই অবস্থায় করদাতার পুরো পরিবারে যে অশান্তি শুরু হয় তা প্রকাশ করার ভাষা আমার জানা নেই। আমি ভদ্রলোকের কথা শোনার পর তার কাগজপত্র দেখতে চাইলাম। তিনি তা দেখালেন।
আমি তাকে আশ্বস্ত করে বললাম যে, আপনার কিছু ভুল হয়েছে; কিন্তু অপরাধ হয়নি। আয়কর আইনের অনেকগুলো ধারা রয়েছে, যেগুলোর সুযোগ নিয়ে আপনি আপনার অপ্রদর্শিত ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লেনদেন উল্লেখ করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে যদি সাহস করে নিজের সততার ওপর আস্থা রাখতে পারেন তবে একটি পয়সাও আপনাকে ঘুষ দিতে হবে না।
ভদ্রলোক আমাকে বিশ্বাস করলেন এবং পরামর্শ চাইলেন। একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ আইনজীবীর সাথে পরিচয় করিয়ে দিলাম। আইনজীবী সব কিছু দেখে বললেন, তার ফি বাদে করদাতাকে এক টাকাও খরচ করতে হবে না। বিষয়টি এখনও নিষ্পত্তি হয়নি- তবে ঘুষখোর যে ঘুষ গ্রহণ করবে না তা তিনি বুঝে গেছেন। এ কারণে সংশ্লিষ্ট কর সার্কেল থেকে যত দ্রুত সম্ভব স্থানান্তরের চেষ্টা চলছে। কারণ তিনি সম্ভবত জানতে পেরেছিলেন যে তার অপকর্মের কাহিনী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে গেছে।
ঘুষ-দুর্নীতির উল্লিখিত খতিয়ান, সিএস, পর্চা, দাগ নম্বর ইত্যাদি অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাওয়া হলে কতটা ভয়া”বহ অনিয়ম বেরিয়ে আসবে তা সহজেই অনুমেয়। একটি সরকারি কোম্পানির ড্রাইভারের সম্পদের মূল্য শত কোটি টাকা, কেরানির হাজার কোটি টাকার সহায়-সম্পদ এবং বড় কর্তাদের দেশ-বিদেশের নারী-গাড়ি-বাড়ি-মদ-জুয়ার জলসার যে কিসসা-কাহিনী শুনি তা আরব্য রজনীর গল্পের কুখ্যাত থিফ অব বাগদাদের শিহরণ জাগানো কাহিনীকেও হার বানায়। আরব্য রজনীর বাগদাদের কুখ্যাত চোরের চাঞ্চল্যকর কাহিনি দেশ-বিদেশে সবাই জানে। অনেক দৃশ্য দেখে, এত গল্প শুনে এবং এত আবর্জনার মাঝে বেঁচে থাকার কারণে যদি আমার একটু রাগ হয় বা আমার নিজের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রাগে জ্বলতে থাকে, তাহলে আপনারা আমাকে কি খারাপ লোক বলবেন- নাকি চেতনাবিরোধী আখ্যা দিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিষোদগার করবেন!