বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই ভিত্তিতে সমগ্র দেশ জুড়ে চলছে ব্যপক আলোচনা-সমালোচনা। যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে। এবং এরই সূত্র ধরে সুশীল সমাজের অনেকেই দেশ পরিচালনায় সরকারের কর্মকান্ড নিয়ে সমালোচনায় লিপ্ত হয়েছে। তবে এই বিষয়ে এবার বেশ কিছু কথা জানালেন বাংলাদেশ পু/লি/শে/র মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
সম্প্রতি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং বাহিনীর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে প্রথমবারের মতো গণমাধ্যমে কথা বলেছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত ওই অনুষ্ঠানের শুরুতে তিনিই প্রশ্ন করলেন, ‘হোয়াই মি?’ পরে এই নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘এটা সারপ্রাইজ নয়। এটা আকস্মিক, দুঃখজনক, বানোয়াট ও কল্পনাপ্রসূত।’ মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে ওই বেসরকারি টেলিভিশনে আইজিপির ২২ মিনিটের ধারণকৃত অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়। অনুষ্ঠানে আইজিপি দাবি করেন, তার সময় রাজনৈতিক নয়, নগরবাসীর শান্তির হাতিয়ার হিসেবেই পু/লি/শ কাজ করছে। গত ১০ ডিসেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ঘোষণাকে নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘যা হয়েছে সব আইন মেনেই হয়েছে।’
তিনি অভিযোগ করেন, হেফাজতের ঢাকা অবরোধে যারা সফল হয়নি বা টানা চার মাস ২০১৫ সালে যারা ঢাকাকে সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি, তারা বেনজীর আহমেদের দায়িত্ব পালনকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে দেখেন। টেকনাফে র্যাবের হাতে পৌর কাউন্সিলর একরামের নি/হ/ত হওয়া নিয়েও প্রশ্ন ছিল পু/লি/শ প্রধানের কাছে। এনজিওদের তথ্যদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে মার্কিন বার্তায়। আর সিভিল সোসাইটির অভিযোগ, যা করার কথা নয়, তেমন কাজও করে র্যাব। এসবের উত্তরে আইজিপি বলেন, ‘সবকিছু আইন মেনেই হয়েছে। যদি আইনের কোনো ব্যত্যয় হয়ে থাকে, সেটিও যথাযথভাবে দেখছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান।’ দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘মনোবল ভাঙার প্রশ্নই ওঠে না বরং এমন ধাক্কায় নিজেদের পেশাগত প্রত্যয় দৃঢ় হয়েছে পু/লি/শে/র।’ আর আজকের যে র্যাব, তার দক্ষতার পেছনে ব্রিটিশ-মার্কিন প্রশিক্ষণের অবদানও রয়েছে বলে স্মরণ করিয়ে দেন পু/লি/শ প্রধান।
বর্তমান সময়ে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এবং বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে অর্জন করেছে বিশেষ স্বীকৃতি। এরই ধারাবাহিকতায় প্রায় সময় বাংলাদেশের প্রশংসায় মেতেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে হঠাৎ করেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করে বাংলাদেশের উপর যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিষেধাজ্ঞাকে ঘিরে অস্তিতিশীল পরিবেশের মধ্যে পতিত হয়েছে। তবে বাংলাদেশ সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছে।