গতকাল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মালদ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা হন। প্রাচীনকাল থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে মালদ্বীপের একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। সম্পর্ক আরো জোরদার করতে এবং কয়েকটা চুক্তি সম্পন্ন করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মালদ্বীপ সফর। আজকে ছিল বৈঠকে বসার কথা। কথা অনুযায়ী বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে চুক্তিও হয়েছে দুই দেশের মাঝে।
মালদ্বীপের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় দুইটি চুক্তি ও দুইটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দুই দেশের সরকার প্রধানের উপস্থিতিতে মালদ্বীপকে ১৩টি সামরিক যান উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ।
এর আগে এই দুই রাষ্ট্র প্রধান দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা চুক্তিতে সই করেন। পরে দুই নেতা গণমাধ্যমের সামনে যৌথ বিবৃতি দেন।
চুক্তি দুটি হচ্ছে- দ্বৈত কর পরিহার ও বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে স্বাস্থ্য সেবা ও চিকিৎসা বিজ্ঞান (নবায়ন) বিষয়ে। আর দু’টি সমঝোতা স্মারক হচ্ছে- বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ এবং দু’দেশের যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রের উন্নয়নে সহযোগিতার বিষয়ে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী মালেতে সে দেশের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে পৌঁছালে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ তাঁকে লাল গালিচা সংবর্ধনাসহ আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার ও গান স্যালুট দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী উভয় দেশের ‘লাইন অব প্রেজেনটেশন’ পরিদর্শন করেন।
শেখ হাসিনা প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে রক্ষিত দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন এবং সেখানে ফটো সেশনে অংশ নেন।
সম্পূর্ণ হলো তিনটি চুক্তি বাংলাদেশ মালদ্বীপ এর বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিয়ে গেল আরো এক ধাপ। ৬ দিনের এই সফরে শুরুতেই সুখবর দিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চক্র যাচ্ছে এ দিনে আরও বেশ কয়েকটা সুখবর পেতে যাচ্ছি আমরা।