কুষ্টিয়া সদর উপজেলাধীন দহকুলা এলাকার তেকনাপাড়া নামক গ্রামে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর সন্তান জন্মদানের ঘটনায় ওই এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছে ৬৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধকে এবং ঐ বৃদ্ধের বিরুদ্ধে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তিনি জোর করে খারাপ কাজ করা সংক্রান্ত আইনে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নিজাম মল্লিককে আটক করেছে র্যাব।
সোমবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১২টায় কুষ্টিয়া র্যাব-১২ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, রোববার রাতে কন্দর্পদিয়া গ্রামে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় নিজাম মল্লিককে আটক করা হয়। এর আগে গত ৪ অক্টোবর কুষ্টিয়ার দহকুলার তেকনাপাড়া গ্রামের পুকুর পাড় থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় এক নবজা”তক শি”/শুকে উদ্ধার করা হয়। পরে গ্রামের লোকজন শি”শুটিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
পরে এলাকায় নবজা”তকের মায়ের পরিচয় জানাজানি হলে জোর করে খারাপ কাজ করার বিষয়টি সামনে আসে। মেয়েটির বাবা এই ঘটনায় বাদী হয়ে নিজাম মল্লিকের বিরুদ্ধে থানায় মেয়েকে জোর করে খারাপ কাজ করায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় যাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে অনেকেই তার নাম শুনে অবাক হয়ে যান।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে নানা নিজাম মল্লিক নামের এক দূরের আত্মীয় ওই ছাত্রীকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে খারাপ কাজ করে। এরপর মেয়েটি অন্তঃস’ত্ত্বা হয়ে পড়ে। এ বিষয়ে মুখ খুললে তাকে প্রাণনাশের হু”মকিও দেওয়া হয়।
গত ৪ অক্টোবর ওই ছাত্রী কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় এবং নিজাম মল্লিকের বাড়ির পাশে একটি পরিত্যক্ত পুকুরে নবজা”তককে ফেলে রেখে যায়। নিজাম মল্লিক নামের ওই অভিযুক্ত বৃদ্ধ ওই ছাত্রীর একই গ্রামের জোনাপ মল্লিকের পূত্র। তাকে থানা থেকে আদালতে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। এদিকে এ ঘটনায় ওই এলাকায় বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ঘৃণ্যতা প্রকাশ করেছেন। তারা জানিয়েছেন নিজাম আদৌ একজন ভালো ব্যক্তি ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে এরকম বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে।