জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে এমনটাই আশা সাধারণ মানুষের এবং সেই লক্ষ্য সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ করার জন্য সকল ধরনের পরিকল্পনা গ্রহন করছে। এ বিষয়ে সাবেক নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক শুরু করেছেন বর্তমান নির্বাচন কমিশন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না, বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ও সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিবরা।
রোববার নির্বাচন কমিশনে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও বর্তমান নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে সংলাপে তারা এ মন্তব্য করেন। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনাররা সংলাপে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা এবং সে আলোকে আগামী নির্বাচনে করণীয় সম্পর্কে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদা বলেছেন, এবার সব দল নির্বাচনে না এলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। সুতরাং আপনি এটি কীভাবে আনবেন তা নির্ভর করবে আপনি কী অফার করবেন তার উপর। আমার সময়ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি ওয়াজ প্রবলেমেটিক (সমস্যা ছিল)। এখন তারা যেসব কথাবার্তা বলছে, তাতে তো মনে হয়, তারা নির্বাচনে যেতে রাজি নয়।
নির্বাচন কমিশনকে রাজনীতিবিদদের শিক্ষক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ।
সাবেক এ সিইসি বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের রাজনীতি শেখানোর জন্য আপনাকে শিক্ষক হিসেবে কাজ করতে হবে। তাদের রাজনীতিবিদ বানাতে না পারলে আফসোস করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই।
আজকের মতবিনিময় সভায় ২৮ জন সাবেক সিইসি, ইসি ও ইসি সচিব-অতিরিক্ত সচিবদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাদের মধ্যে মাত্র ১০ জন অংশ নেন।
বিচারপতি আবদুর রউফ আরও বলেন, আপনারা যদি এজ ইট ইজ রাখেন, কোনো পরিবর্তন করার সাহস না পান, তাহলে প্রতি ৫০০ জনের জন্য একটি করে ১টি পোলিং স্টেশন তৈরি করুন। এতে ভোটের সময় কমবে, ভোট শেষ হবে ৬টা থেকে ১২টার মধ্যে। দিনে দিনেই ভোট গণনা শেষ করতে পারবেন। সবথেকে খারাপ ব্যাপার হলো ভোট গণনা শুরু হয় সন্ধ্যায়। আর সন্ধ্যার পর আমরা জ্বিন, ভূত, যা আছে সব দেখি। আলো নিভে গেলে শুরু হয় তাদের আনাগোনা।
আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য একমাত্র চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন করা উল্লেখ করে সাবেক নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না।
তবে বৈঠকে সকল দলের অংশগ্রহণটাকেই প্রধান লক্ষ্য হিসেবে দেখছেন বৈঠকে অংশগ্রহণ করা নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সচিবসহ নতুন ও পুরাতন কমিশনেরা এবং কর্মকর্তারা। তারা জানান রাতে ভোট গণনা হলে সেটা সঠিক ভোট গণনা হবেনা। সেখানে নানা ধরনের কারচুপি হতে পারে। তাই দিনে দিনেই ভোট গণনার জন্য সুপারিশ করেন তারা।