Saturday , November 23 2024
Breaking News
Home / Countrywide / সন্তুষ্ট করতে না পারায় পরকিয়া প্রেমিকের সাথে অপ্রত্যাশিত কান্ড ঘটালেন প্রবাসীর স্ত্রী

সন্তুষ্ট করতে না পারায় পরকিয়া প্রেমিকের সাথে অপ্রত্যাশিত কান্ড ঘটালেন প্রবাসীর স্ত্রী

পরকিয়া প্রেমের জের প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৫ বছর বয়সি এক ব্যাক্তি। গৃহবধুর স্বামী সিঙ্গাপুর প্রবাসী। গৃহবধুর স্বামী প্রায় এক বছর ধরে প্রবাসে রয়েছেন। দীর্ঘদিন স্বামী প্রবাসে থাকার কারনে অন্য ব্যাক্তির সাথে বিবাহ বহির্ভুত শারীরিক সম্পর্কে জনিয়ে পরেন প্রবাসীর স্ত্রী। প্রবাসী গৃহবধুর নার মোর্শেদা, বয়স ৩৫ বছর।

স্বামী সিঙ্গাপুরে থাকায় প্রতিবেশী শফিকুলের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন মোর্শেদা। তাদের শারীরিক মিলনও হয়। তবে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে শফিকুল কখনোই মোর্শেদাকে শারীরিক তৃপ্তি দিতে পারেননি। তারপরও আবার শারীরিক সম্পর্ক শুরু করতে চান। কিন্তু তাকে ‘সন্তুষ্ট’ করতে না পারায় তার প্রেমিকা ওড়না দিয়ে মুখ চেপে শফিকুলের প্রাণনাশ করে। টাঙ্গাইলের নাগরপুরে শফিকুল ইসলাম প্রাণনাশের মামলায় ৩৩ বছর বয়সী মোর্শেদা আক্তারের জবানবন্দিতে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। একই সঙ্গে এই প্রাণনাশকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সারের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে মির্জাপুর-নাগরপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এসএম মনসুর মুছা এ তথ্য জানান।

মোর্শেদা নাগরপুর উপজেলার পাকুটিয়া ইউনিয়নের মানারা নয়াপাড়া গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী বাবুল হোসেনের স্ত্রী। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার বিকেলে মোর্শেদার দেবর বারেক ও ভাসুর ফুলচানকে আটক করে পুলিশ। স্বীকারোক্তিতে মোর্শেদা জানান, তার স্বামী বাবুল এক বছর ধরে সিঙ্গাপুরে বসবাস করছেন। এরপর প্রতিবেশী সমেশ আলীর ছেলে ৪৫ বছর বয়সী শফিকুল ইসলামের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক সময় প্রেম গড়ে ওঠে। সম্প্রতি তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয় শফিকুলের। কিন্তু তিনি নানা রোগে ভুগছিলেন। এ কারণে সে কখনো তাকে শারীরিক তৃপ্তি দিতে পারেনি। ১৮ জুলাই বিকেলে শফিকুল আবার মোর্শেদার বাসায় যান। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় তিনি মোর্শেদার সঙ্গে শারীরিক মিলনের চেষ্টা করেন। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বাড়ির টিউবওয়েলের কাছে দুজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এ সময় শফিকুল নিচে পড়ে যান। পরে মোর্শেদা ওড়না দিয়ে শফিকুলের মুখ চেপে ধরে। ঘটনাস্থলেই তার প্রয়ান হয়। পরে পাশের টয়লেটে নিথরদেহ লুকিয়ে রাখেন মোর্শেদা। এছাড়া তিনি দেবর বারেক ও ভাসুর ফুলচানকে বিষয়টি জানান। তারা নিথরদেহ লুকানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ওই দিন রাত ১২টার দিকে তারা নিথরদেহটি চালের বস্তায় ভরে বারেকের অটোরিকশায় নিয়ে গ্রামের একটি সেতুর নিচে ফেলে দেয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯ জুলাই সকালে নাগরপুর উপজেলার মন নয়াপাড়া গ্রামের ব্রিজের নিচ থেকে বস্তায় মোড়ানো অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তির নিথরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে স্ত্রী রাহেলা বেগম নিথরদেহটি শফিকুলের বলে শনাক্ত করেন। এরপর তিনি নাগরপুর থানায় একটি প্রাণনাশের মামলা করেন। মামলার পর নাগরপুর থানার এসআই মনোয়ার হোসেন ঘটনার তদন্ত শুরু করেন। উন্নত তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে এবং পুলিশের ঐতিহ্যবাহী কৌশল ব্যবহার করে এই পুলিশ কর্মকর্তা দ্রুত ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেন। একই সঙ্গে বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ৩৫ বছর বয়সী মোর্শেদা নামের এক প্রবাসী গৃহবধু পরকিয়া প্রেমিকের সাথে শারীরিক সম্পর্কে সন্তুষ্টি লাভ করতে না পরে নিজের পরকিয়া প্রেমিককে প্রাণনাশ করেছেন। পরকিয়া প্রেমিক নানান শারীরিক রোগের জটিলতায় ভুগছিলেন। শারীরিক অসুস্থতা জনিত কারনে নিজের পরকিয়া প্রেমিকাকে শারীরিক সুখ দিতে না পারায় নিজের প্রেমিকার হাতে প্রাণ দিয়ে হয়েছে শফিকুল নামের এক ব্যাক্তির।

About Syful Islam

Check Also

সংস্কারের নামে ভয়াবহ দুর্নীতি-লুটপাট

সংস্কার ও উন্নয়নের নামে কয়েকগুণ বেশি ব্যয় দেখিয়ে হরিলুটের ব্যবস্থা করা হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *