সম্প্রতি গত কয়েকদিন আগেই একই সঙ্গে ২ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক মা। আর এরই জের ধরে গোটা পরিবারের মাঝে আনন্দের বন্যা বয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দিন শেষে এমন কিছুই হলো না। বরং ওই সন্তানের মায়ের উপর আরো রেগে ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। আর পেছনে রয়েছে অন্য একটি ঘটনায়।
জানা যায়, সন্তানের জন্মের আগেই শিশুটির পিতৃত্ব নিয়ে সন্দেহ এবং সেখান থেকে ডিএনএ টেস্ট। আর সত্য বেরিয়ে এল। এরপর আসল ঘটনা সামনে আনেন ওই নারী।
ঘটনাটা ঠিক কী? মূলত, যমজ সন্তানের পিতারা দুটি ভিন্ন পুরুষ। অর্থাৎ ওই দুই সন্তান দুই ভিন্ন পিতার জন্ম! কি ঘটেছে? হ্যাঁ, অবাক হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, গল্প নয়। এই বাস্তবে ঘটেছে.
19 বছর বয়সী মহিলাটি ব্রাজিলের গোয়াস প্রদেশের একটি ছোট শহর মিনেরোসের বাসিন্দা। আট মাস গর্ভধারণের পর, যমজ সন্তানের আসল বাবা সম্পর্কে তার সন্দেহ রয়েছে। পরে, সেই সন্দেহ দূর করার জন্য, তিনি যে দুজন পুরুষের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেছিলেন তাদের একজনের ডিএনএ পরীক্ষা করেছিলেন।
এই মহিলার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে লোকটি তার দুই ছেলের জৈবিক পিতা হবে। কিন্তু ফলাফল অবিশ্বাস্য। ডিএনএ ফলাফল দেখায় যে তার ডিএনএ দুই পুত্রের একজনের সাথে মিলেছে, তবে অন্যটির সাথে নয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই মহিলা স্থানীয় নিউজ পোর্টাল গ্লোবোকে বলেন: “আমি ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল দেখে খুব অবাক হয়েছিলাম। আমার ধারণা ছিল না যে এমনটা হতে পারে। বাচ্চাদেরও দেখতে ঠিক একই রকম।’
তিনি আরও বলেন, আমি অবাক হয়েছি যে, একজন শিশুর ডিএনএ প্রথম পুরুষের সঙ্গে মিলছে না। তখন মনে পড়ল একই দিনে আমি অন্য একজনের সাথে শারীরিক মিলন করেছিলাম। এরপর আমি তাকে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ডাকি। তার ডিএনএর সঙ্গে আমার অন্য সন্তানের ডিএনএ মিলেছে।’
১৯ বছর বয়সী এই মা বলেন, ফলাফল দেখে আমি অবাক। এমন ঘটনা ঘটতে পারে জানতাম না।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত যমজ ছেলের জন্ম সনদে মায়ের পাশাপাশি উভয় সন্তানের বাবা হিসেবে প্রথম পুরুষের নাম নথিভুক্ত করা হয়। মহিলাটি বলেন, ‘তিনি (প্রথম পুরুষ) তাদের উভয়ের (দুই সন্তানের) খুব যত্ন নেন।তাদের লালন পালনে আমায় খুবই সাহায্য করেন। ওদের প্রয়োজনীয় সকল সহায়তাও দেন।’
প্রথমে এই ঘটনায় পরিবারের সদস্যরা অনেকটা দুশ্চিন্তায় পরে গেলেও, এখন বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন তারা। ওই দুই সন্তানের যত্নও নিতে শুরু করেছেন তারা। বর্তমানে বেশ ভালোই রয়েছেন ওই দম্পতি।