ফরিদুল হক খান হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী। এই সম্মানীয় পদে আসীন হাবর পর থেকে সততা ও নিষ্ঠার সহিত তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ফরিদুল হক খান জামালপুর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। এর পূর্বেও তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে সফলতার সহিত দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন সরকার এতো কিছু দেওয়ার পরেও মানুষ বলে, কী দেয়।
প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এমপি বলেছেন, ‘আপনারা সন্তান ফয়দা করেন, শেখ হাসিনা ভাতা দেন। অন্য কথায়, সরকার আপনার সন্তানকে পুষ্টি ভাতা দিচ্ছে। অভাবী অভিভাবকরা ভাতার টাকা পেয়ে তাদের সন্তানদের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করছেন। সরকার দেশের মানুষকে বিভিন্ন ভাতা দিচ্ছে এবং গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ করছে।
বিগত শাসনামলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যারা ২১ বছর ক্ষমতায় ছিল তারা শুধু ভিজিএফ দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার পুষ্টি, বয়স্ক, বিধবাসহ বিভিন্ন ভাতা দিচ্ছে। আগামীতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।”
স্থানীয় কড়িতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গাইবান্ধা ইউনিয়ন আ.লীগ আয়োজিত এক সভায় গাইবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান মাকছুদুর রহমান আনসারীর প্রতি ইঙ্গিত করে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল এমপি বলেন, ‘বরাদ্দের চেয়ে বেশি বরাদ্দ। উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে জেলা পরিষদ। গাইবান্ধা ইউনিয়নে আসি। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান এসব উন্নয়ন বরাদ্দের কথা বলেন না কেন জানি না। নাকি সহিংসতা দিয়ে বলবেন না, সেটা বুঝি না!’ ইতিহাস কথা বলে। সরকার অনেক কিছু দেয়। কিন্তু মানুষও বলে, সরকার কী দেয়?
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নে আওয়ামী লীগের বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সুতোয় বোনা। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধুকে বারবার জেল খেটেছেন। পাকিস্তান সরকার তাকে কোনো অপরাধ ছাড়াই দেশদ্রোহী হিসেবে চেয়েছিল এবং তার ফাঁসি চাইছিল। শেষ পর্যন্ত জনসমর্থনের ভিত্তিতে পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে সম্মানজনকভাবে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর প্রিয় বাংলাদেশে যারা বাংলাদেশকে মেনে নিতে পারেনি, তারা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে নির্মমভাবে প্রাণনাশ করেছে। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে ২০ বছর আগেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হতো।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি জিএসএম মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন- জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাফর ইকবাল জাফু, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মোঃ আব্দুস সালাম, উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. জামাল আবদুন নাছের বাবুল, গাইবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান মাকছুদুর রহমান আনসারী।
গাইবান্ধা ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মুসলিম উদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম সামরিক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তারেকের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক লাল মিয়া, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক শফিকুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। শিবলী উপস্থিত ছিলেন। , গাইবান্ধা ইউপির সাবেক সদস্য আফছার আলী সরদার, মহিলা আ.লীগের সভাপতি আফরোজী আজাদ তানিয়া, পরিবার পরিকল্পনা মাঠ কর্মচারী সমিতি জেল শাখার সাধারণ সম্পাদক আসাদুল হক দুলাল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নূর আজাদ ইমরান, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মিয়া, সহ-সভাপতি ইসলামী হোসাইন, গাইবান্ধা ইউনিয়ন আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান শান্ত, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক স্বাধীন, সাধারন সম্পাদক মো. দপ্তর সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আল মামুন বিদ্যুৎ প্রমুখ।
পরে বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্ট নিহত শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। পরে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এমপি উপজেলার নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগে অংশ নেন।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলার মানুষকে ভালোবাসেন ভলেই দেশের মানুষের জন্য অনেক কিছু করছেন। প্রধানমন্ত্রীর পিতা শেখ মুজিবরের সুযোগ্য কন্যা তিনি। তার আদর্শে আদর্শিত হয়েই তিনি বাংলার মানুষের সার্বিক কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন।