নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছে। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে কন্যা সন্তানটির জন্ম হয়।
১০ মাস আগে মেয়েটিকে জোর করে খারাপ কাজ করা হয়। প্রতিবেশী জাহিদুল খান (৫০) বর্তমানে সংশ্লিষ্ট মামলায় কারাগারে রয়েছেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক নার্গিস তানজিমা ফেরদৌস জানান, ওই স্কুলছাত্রী নাবালিকা। তাই মা ও নবজাতককে নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল। অবশেষে সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। মা ও নবজাতক সুস্থ রয়েছে।
স্কুলছাত্রীর দাদি বলেন, ‘আমি একজন গরিব মানুষ। অন্যের বাড়িতে কাজ করে কষ্ট করে সংসার চালাই। আমাদের কষ্টের কথা ভেবে প্রয়াত স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস ১৫ দিন আগে ২০ হাজার টাকা দেন। আমি সেই টাকা দিয়ে তার সেবা করেছি। আমি এখন কি করবো ভেবে পাচ্ছি না. নবজাতককে যদি কেউ দত্তক নেয় তাহলে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেতাম।’
উল্লেখ্য, পারিবারিক কলহের কারণে শিশুটির বাবা-মা আলাদা হয়ে গেছেন। পরে তার বাবা ও মা অন্যত্র বিয়ে করেন। তারপর থেকে শিশুটি তার নানীর সাথে থাকত। জাহিদুল খান মাঝে মাঝে ভ্যানে করে স্কুলছাত্রীদের স্কুলে নিয়ে যেতেন। ১০ মাস আগে তাকে খারাপ কাজের শিকার হয়। এ ঘটনায় ১৮ জুন গুরুদাসপুর থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করেন শিশুটির দাদি। গত ২৬ আগস্ট সকালে ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা থানার হেলেঞ্চা এলাকা থেকে আসামিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৫।