পদ্মাসেতু নিয়ে অনেক অপমানজনক কথা শুনতে হয়েছিল জননেত্রী শেখ হাসিনা ও পরিবার। তবে এরপরও কিন্তু আত্মবিশ্বাস হারাননি তিনি। এমনকি বিশ্বব্যাংক যখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল, তখনও কিন্তু নিজের প্রতি পূর্ন আত্মবিশ্বাস ছিল তার। আর এরই ফল স্বরূপ পদ্মার উপর দাড়িয়ে আছে কোটি বাঙালির স্বপ্নের পদ্মাসেতু।
চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বিদেশি তহবিল বন্ধের পরও দেশীয় অর্থায়নে পদ্মা সেতু প্রকল্পে এগিয়ে যাওয়ার প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে ‘অত্যন্ত সাহসী’ বলে অভিহিত করেছেন। কোনো দেশের কোনো সাধারণ নেতার পক্ষে তা করা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
রোববার ঢাকায় চীনা দূতাবাসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, একটি দেশের সাধারণ কোনো নেতার পক্ষে তার (শেখ হাসিনা) মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হতো কিনা আমার সন্দেহ আছে। সত্যিই আমি সন্দেহ করি।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, কিছু বিদেশী উন্নয়ন সহযোগী বিশ্বাস করতে পারে না যে বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে এত বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারে। তবে তিনি তাদের কারো নাম বলেননি।
তিনি বলেন, সকল সন্দেহ, চাপ ও অভিযোগ সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের শতভাগ আর্থিক সহায়তায় পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
লি জিমিং বলেন, এই সিদ্ধান্তের জন্য “যেকোনো সরকার প্রধানের পক্ষ থেকে অসীম সাহস এবং রাজনৈতিক দায়িত্বের দৃঢ় বোধের প্রয়োজন।”
“এই সেতুর কথা ভাবলে তিনটি শব্দ মনে আসে,” তিনি যোগ করেন। অর্থাৎ সাহস, সংকল্প ও সমৃদ্ধি।
আগামী ২৫ জুন পদ্মাসেতু উদ্বোধন করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এদিন জনসাধারণের জন্য পদ্মাসেতু খুলে দেয়া হবে না। এদিকে পদ্মাসেতুতে থাকছে না হেয়ে চলার সুযোগ।