নিজের ছবি ও ফোন নম্বর দিয়ে মানুষ হত্যার ‘সুপারি কিলিং’ বিজ্ঞাপনে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং এলাকায় ভিজিটিং কার্ড ছাপানো ও পোস্টার লাগানোর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ক্যানিংয়ের ধর্মতলা গ্রামে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে মোরসেলিম মোল্লা ওরফে বুলেট নামে ওই যুবককে আটক করে।
জানা গেছে, ক্যানিংয়ের ধর্মতলা গ্রামের লোকজন এই ভিজিটিং কার্ড পেয়েছেন। তাতে লেখা- ‘পথের কাঁটা সরাতে হবে? চিন্তার কিছু নেই। সঠিক দাম পেলেই কাজ হবে।’ আবার লেখা-‘মানুষ হাফ ও ফুল মার্ডার করা হয়।’ ওই ভিজিটিং কার্ডে আপনার নাম, মোবাইল নম্বর এমনকি আপনার ছবি দিয়ে সুপারি হত্যার বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়।
এই কার্ড পাওয়ার পর ক্যানিং থানায় খবর দেওয়া হয়। তদন্ত শেষে মোরসেলিম মোল্লা ওরফে বুলেটকে আটক করা হয়। তার বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে পুলিশ একটি দেশীয় বন্দুক ও দুই রাউন্ড গুলিও উদ্ধার করেছে। ধৃত ব্যক্তিকে আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানায়, গত দুই-তিন বছর ধরে এলাকার বিভিন্ন সূত্রে এই ভিজিটিং কার্ডের খবর আসছিল। সোমবার ক্যানিংয়ের ধর্মতলা এলাকা সংলগ্ন বেশ কয়েকটি জায়গায় পোস্টারও লাগানো হয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে ক্যানিং থানার পুলিশ ধর্মতলা গ্রামে অভিযান চালায়। পুলিশ সেখানে তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে। এর আগে এই মোরসেলিমকে ২০২২ সালের আগস্টে অবৈধ অস্ত্র পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এবার সুপারি হত্যার ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে সরাসরি বিজ্ঞাপন দিতে শুরু করেন মোরসেলিম।
ক্যানিং-এর গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পঞ্চায়েত সদস্য-সহ তিনজনকে খুনের মূল অভিযুক্ত রফিকুল সরদারের ভাগ্নে মোরসেলিম মোল্লা। ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ। কিন্তু মোরসেলিম নাবালক হওয়ায় জামিন পান।
স্থানীয়দের দাবি, আসামি জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর থেকেই এলাকার মানুষকে আতঙ্কিত করে আসছে। গত কয়েকদিন ধরে মানুষ হত্যার জন্য সুপারি পেতে বিজ্ঞাপন দিতে শুরু করেছে। তবে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত তার অপরাধ স্বীকার করেছে।
মোরসেলিম মোল্লার ভাষায়, “আমি চেয়েছিলাম বলেই কার্ড ছাপিয়েছি।” কাজের প্রচার করেছি