ইভিএম হলো একটি আধুনিক ইলেকট্রনিক ভোট গ্রহণ করার মেশিন এবং এই মেশিনটি সধারণত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা তৈরি করা হয়। বিশ্বের প্রায় অনেক দেশেই এই ইভিএম মেশিন বোট গ্রহণ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। বাংলাদেশেও ব্যবহার করা হচ্ছে ইভিএম। তবে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে অনেকরই আছে বিভিন্ণ ধটণের অভিযোগ। সম্প্রতি জানা গিয়েছে আগে কেনা ইভিএমের ২৮ হাজার অকেজো হয়ে গেছে।
গত চার বছরে সারাদেশে আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা অফিসে মোট ৯৩ হাজার ইভিএম পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ৩০ শতাংশ বা প্রায় ২৮ হাজার ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে না পারায় অকেজো বা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
এখন ইসি বলছে ওইসব ইভিএম পুরোপুরি নষ্ট হয়নি। মেরামত এবং আবার ব্যবহার করা যেতে পারে। ইতিমধ্যে সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যথাযথ সংরক্ষণ ব্যবস্থার অভাবে এ অবস্থা বলে মনে করছে ইসি।
নির্বাচন কমিশন গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে (২০১৮সালে) ইভিএম কেনার জন্য ৩,৮২৫ কোটি টাকার একটি পাঁচ বছর মেয়াদী প্রকল্প নিয়েছিল। ওই প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ৫০ হাজার ইভিএম কেনা হয়েছে। ইসি সূত্রে জানা গেছে, দেড় লাখ ইভিএমের মধ্যে ৯৩ হাজার বিভিন্ন আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
দেশ ভেদে ইভিএমের জীবনকাল পরিবর্তিত হয়। ইভিএম ৫ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত কার্যকর থাকে। চার বছরের মধ্যে দেশে কেন ইভিএমে সমস্যা দেখা দিয়েছে তা খতিয়ে দেখা দরকার। কমিশনের উচিত ছিল এগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা।
মো আব্দুল আলিম, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ
এছাড়া গাজীপুরের মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিতে (বিএমটিএফ) ৫৪ হাজার ৫০০ ইভিএম রাখা আছে। আর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রয়েছে আড়াই হাজার ইভিএম। সেই স্কিমে, ইভিএমের ১০ বছরের ওয়ারেন্টি (বিক্রয়-পরবর্তী পরিষেবার নিশ্চয়তা) রয়েছে বলে বলা হয়েছিল।
চলতি সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকার বাইরে ইভিএমের অবস্থার তথ্য সংগ্রহ করেছেন ইভিএম প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা। এতে দেখা গেছে যে ৩০ শতাংশ ইভিএম ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে, তাদের বেশির ভাগেরই বিভিন্ন হার্ডওয়্যার সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে অংশ ক্ষতিগ্রস্ত বা হারিয়ে যায়। এ ছাড়া কাগজের প্যাকেটে রাখা হয়েছে ৪৫ হাজার ৫০০ ইভিএম। তাদের মান নিয়েও সন্দেহ দেখা দিয়েছে। কমিশন এখনো তাদের মান যাচাই করেনি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দক বিএনপি জাতিয়য় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে প্রচন্ড বিরোধিতা করছেন তাডের অভিযোগ ইভিএমের মাধ্যমে সুষ্ঠ ভোট গ্রহণ করা হয় না, এর মাধ্যমে ভোট কারচুপি করা হয়। এছড়াও অনেকে অভিযোগ করেছেন যে ভোট প্রদানের সময় ইভিএমের সঠিক ব্যবহার অনেকই বুজতে পারে না ফলে ভোট দিতে পারে না বলে জানা গিয়েছে।