বিভিন্ন জাতীয় দিবসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা বাধ্যতামূলক। তবে অর্ধনমিত বলতে কতটা নামানো হবে তা নির্ধারণ করা হয়নি। এটা নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্ত ছিল সবাই। এ বিভ্রান্তি দূর করতে গত ৯ আগস্ট সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পতাকা বিধিমালা, ১৯৭২’ সংশোধন করে অর্ধ-প্রমিতকরণের পরিমাণ নির্ধারণ করে। এক্ষেত্রে পতাকাটি খুঁটির ওপর থেকে এক-চতুর্থাংশ নিচে ওড়ানো উচিত। পতাকা অর্ধনমিত রাখার এই নির্দেশনা মনে রাখতে মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) ব্যাংকগুলোকে সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রতিটি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে পাঠানো এই সার্কুলারে বলা হয়, ৯ আগস্ট জারি করা সরকারি প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত নির্দেশনা অনুসরণ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্যাংক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯১।
প্রসঙ্গত, ৯ আগস্ট জারি করা প্রজ্ঞাপনে বিধিমালার বিধি-৭-এর ১২ অনুচ্ছেদের পরিবর্তে নতুন ১২ অনুচ্ছেদ প্রতিস্থাপিত হবে বলে উল্লেখ করা হয়। নতুন ১২ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, অর্ধনমিত রাখার ক্ষেত্রে পতাকা প্রথমে পতাকাদণ্ডের সর্বোচ্চ চূড়া পর্যন্ত উত্তোলন করতে হবে। এরপর পতাকা দণ্ডের এক-চতুর্থাংশের দৈর্ঘ্যের সমান নিচে নামিয়ে পতাকাটি স্থাপন করতে হবে। ওই দিবসে পতাকা নামানোর সময় ফের পতাকা দণ্ডের সর্বোচ্চ চূড়া পর্যন্ত উত্তোলন করা হবে, এরপর নামাতে হবে।
নিয়মে বলা হয়েছে, পতাকার খুঁটির দৈর্ঘ্য ২৮ ফুট হলে তা ৭ ফুট নামিয়ে উড়তে হবে। অর্থাৎ পতাকার শীর্ষ ও খুঁটি এবং পতাকার শীর্ষের মধ্যে দূরত্ব হবে ৭ ফুট। আগের বিধিমালার ১২ অনুচ্ছেদে অর্ধনমিত রাখার নিয়ম উল্লেখ ছিল। তবে কতটা নিচে উড়তে হবে তা বলা হয়নি।
পতাকা বিধি অনুযায়ী, ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এবং সরকারি প্রজ্ঞাপন দ্বারা ঘোষিত অন্য যে কোনো দিনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।