আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশন সকল রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপে বসছে। কিন্তু গতকালের সংলাপে একই বক্তব্যের বিপরীত বক্তব্য দিলেন কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল সকালে এক ধরনের বক্তব্য দিয়ে সেটা থেকে সরে এসে তার নিজের বক্তব্যের পাল্টা বক্তব্য দিলেন পরবর্তীতে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে একদিনে দুই ধরনের বক্তব্য দেন তিনি।
সংলাপের প্রথম দিন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল এনডিএমের সঙ্গে সংলাপে তরবারির বিরুদ্ধে রাইফেল নিয়ে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিলেও বাংলাদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে তৃতীয় দফা সংলাপে তরবারি-রা”ইফেল নিয়ে লড়াই না করার পরামর্শ দেন তিনি।
রোববার (১৭ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে সংলাপে তিনি এ পরামর্শ দেন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পদ্ধতি ঠিক করতে দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেছে ইসি। এরপর ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসে ইসি। আজ থেকে শুরু হওয়া সংলাপ চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত।
সিইসি বলেন, নির্বাচন এক ধরনের যু”দ্ধ। অনেকে বলেন, যু”দ্ধক্ষেত্রে আসুন। অ’স্ত্র দিয়ে প্রকৃত যু”দ্ধ হবে না। জনসমর্থনের জন্য লড়াই করতে হবে। আপনি তলোয়ার রা”ইফেল সঙ্গে যু”দ্ধ না। আপনাদের জনসমর্থন যেগুলো আছে তারা আসবে। আপনারা ব্যালট নিয়ে যু”দ্ধ করবেন। সেই যু’দ্ধটা আপনাদের করতে হবে।
সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া প্রথম সংলাপে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে রা”ইফেল বা ত”লোয়ার নিয়ে দাঁড়ানোর পরামর্শ দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বললেন, ‘দায়িত্ব তোমাকে নিতে হবে। কারণ খেলোয়াড়রা রাজনৈতিক দল।…আপনি মাঠে নামবেন; মাঠে খেলুন। আমরা রেফারি। আমাদের অনেক ক্ষমতা আছে। ক্ষমতাও কম নয়।…কেউ তলোয়ার নিয়ে মাঠে দাঁড়ালে রা”ইফেল-তলোয়ার নিয়ে দাঁড়াতে হবে।’
সিইসি এ কথা বললে এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ প্রতিবাদ করেন। তিনি বলেন, আইন আমাদের শটগা”ন নিয়ে দাঁড়ানোর অনুমতি দেয় না। তবে দ্বিতীয় দল বাংলাদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে সংলাপে সিইসির বক্তব্য পুরোপুরি পাল্টে যায়। এবার তিনি সম্প্রীতি ও শান্তি নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।
আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সকল ধাপ সম্পন্ন করার শেষ পর্যায়ে রয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে তিনি যেসব বক্তব্য দিচ্ছেন সেগুলো নিয়ে আলোচনার সৃষ্টি হচ্ছে।