দেশের স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। যদিও বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগের প্রাদুর্ভাবের সময় কয়েকটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি করে, তা সত্বেও স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়ন বৃদ্ধির জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এবারে জনসাধারণের জন্য স্বাস্থ্য চেকআপ বিষয়ে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সরকার। যেটা একটা সুখবরই বটে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আগামী বছরের শুরুতে সরকারি হাসপাতালে সবার জন্য বার্ষিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হবে। শনিবার বিকেলে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নবজাতকের বিশেষায়িত সেবা কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আগামী বছর থেকে সরকারি হাসপাতালে বার্ষিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ইতিমধ্যে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের জানুয়ারিতে এই সেবা চালু করা সম্ভব হবে। তাহলে দ্রুত রোগ শনাক্ত করা সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর ৯০ হাজার নবজাতক প্রয়াত হচ্ছে। প্রতি মাসে ২৫০ জন এবং প্রতিদিন ১০ থেকে ১১ জন প্রয়াত হচ্ছে। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে আমাদের শি”শুমৃ’/ত্যু কমাতে হবে। ফলে সারাদেশে প্রায় ৫০টি হাসপাতালে এসব বিশেষায়িত সেবা কেন্দ্র গড়ে উঠেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী ছোট ছেলেমেয়েদের বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগের টি/’কা দেওয়া শুরু হয়েছে। আগামী ২৫ তারিখ থেকে সিটি করপোরেশনে টি’/কা দেওয়া শুরু হবে। সারা দেশের স্কুলে শি”শুদের টিকা দেওয়া হবে। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কেউ টি’/কা নিতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, এই সেবা কেন্দ্রে অপরিণত ও বিভিন্ন রোগে আক্রা”ন্ত নবজাতকরা বিশেষায়িত সেবা পাবেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে আরো বলেন, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগ প্রতিরোধের জন্য অনেক ব্যক্তি রয়েছেন যারা এখনো ভ্যাক’/সিন গ্রহণ করেননি। তবে যারা ভ্যা’/কসিন গ্রহণ করেননি তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকবে। প্রথম ও দ্বিতীয় ডো”জের যে টিকাদান কার্যক্রম, সেটা আর বেশিদিন থাকবে না। এরপর বুস্টার ডোজ যেটা দেয়া হচ্ছে, সেটাও এরপরে আর দেওয়া সম্ভব হবে না।