ছাত্র অভ্যুত্থানের বার্তা ও আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে সংবিধানসহ কিছু জাতীয় সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে ছয়জনকে প্রধান করে ছয়টি কমিশন গঠন করা হয়েছে। আগামী ১ অক্টোবর থেকে এসব কমিশন কাজ শুরু করবে।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এ কথা বলেন।
সংস্কারের উদ্দেশ্যে গঠিত 6 টি কমিশনের প্রধানরা হলেন:
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ড. বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে কাজ করবেন সরফরাজ চৌধুরী, বিচারবিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ড. ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে ড. শাহদীন মালিক দায়িত্ব পালন করবেন।
ড. ইউনূস আরও বলেন, কমিশন প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করে এসব কমিশনের অন্য সদস্যদের নাম ঠিক করা হবে। কমিশনের আলোচনা ও পরামর্শ সভায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ছাত্র-শ্রমিক-গণআন্দোলনের প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।
তোহসাহ বলেন, পূর্ণাঙ্গভাবে গঠিত হওয়ার পর আগামী ১ অক্টোবর থেকে কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করবে এবং আগামী তিন মাসের মধ্যে এটি সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি। কমিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সরকার পরবর্তী পর্যায়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শমূলক বৈঠকের আয়োজন করবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে ছাত্রসমাজ, সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তিন থেকে সাত দিনব্যাপী আলোচনা সভার ভিত্তিতে সংস্কার ভাবনার রূপরেখা চূড়ান্ত করা হবে। এই রূপরেখা কীভাবে বাস্তবায়িত হবে সে সম্পর্কেও ধারণা দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, এই আয়োজন পুরো জাতিকে ২১ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের বার্তা বাস্তবায়নে এবং রাষ্ট্র পুনর্গঠনের ঐক্যের তাগিদে দৃঢ় ও আশাবাদী করে তুলবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।