ঢালিউডের রোমান্টিক জুটি অনন্ত-বর্ষা। দীর্ঘদিন ধরে তারা একসঙ্গে বসবাস করছেন। অনন্ত-বর্ষা বর্তমানে দুই সন্তানকে নিয়ে সুখেই দিন কাটাচ্ছেন। কম-বেশি সবার সংসারেই খু’নসুটি, মান-অভিমান থাকে। অনন্ত-বর্ষাও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে অভিমান থাকলেও ভালোবাসার অনেক উদাহরণ রয়েছে তাদের পরিবারে।
অভিনেত্রী বর্ষা খুবই দরিদ্র পরিবারের মেয়ে। তিনি সর্বদা প্রকাশ্যে সেটা স্বীকার করেন। বলা যায়, এই ধনী-গরিব স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রেম ছিল সিনেমার মতো। কিন্তু অনন্ত কারো কথা শুনেনি। বরং শুরু থেকেই ভালোবাসার মানুষকে আগলে রেখেছেন এই নায়ক।
সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে তাদের প্রেমের গল্প জানিয়েছেন বর্ষা। এ সময় তিনি বলেন, ”আমি গরিব ঘরের মেয়ে বলে কখনও কোনো বিষয়ে কথা শোনাননি অনন্ত। খোটা দিলে হয়তো আমাদের সংসারটাই টিকত না।
বর্ষা বলেন, একটি অনুষ্ঠানে অনন্তের সঙ্গে প্রথম দেখা ও পরিচয় হয় আমার। আমি তখন গার্লস হোস্টেলে থাকতাম। আমি তো অর্থবিত্তে অত বড় পরিবারের কেউ নই। হোস্টেলের সেই একই খাবার খেতে ভালো লাগত না প্রতিদিন। পরিচয়ের পর থেকে মাঝে মাঝেই অনন্ত আমাকে ওর গাড়িতে করে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে নিয়ে খাওয়াত।
এভাবেই দুজনের মধ্যে কথাবার্তা বাড়তে থাকে। আমি জীবনটা খুব বাস্তবতা থেকে দেখি। আমি কখনও কোনো কিছু লুকাইনি অনন্তর কাছে, যেটা তার ভান মনে হবে। অনন্তও ঠিক তাই। সে কারণেই হয়তো আমাদের প্রেমটাও নিবিড় হয়েছে।
কেমন ছিল দুজনের পারস্পরিক ভালোবাসা? এমন প্রশ্নের জবাবে বর্ষা বলেন, একদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে অনন্তকে বলেছিলাম, একদিন ঘুমানোর আগে অনন্তকে বললাম দেখি এক মিনিটে কে কতবার ‘আই লাভ ইউ’ লিখে পাঠাতে পারে? আমি জানতাম অনন্ত এসএমএসে খুব স্লো। তাই ভেবেছিলাম আমি জিতব। কিন্তু দেখলাম, সে এক মিনিটে প্রায় হাজার বার ‘আই লাভ ইউ’ লিখে পাঠিয়েছে। পরে জানতে পারি, তার হাতে একটি স্মার্টফোন ছিল, সে তার ইচ্ছামতো কপি পেস্ট করেছে। যেটা আমি পারিনি। কারণ তখন আমার একটা বাটন ফোন ছিল।
এই ধনী-গরিবের প্রেম, পৃথিবীর শুরুতে আপনি কি কোন বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন? জানতে চাইলে এই অভিনেত্রী বলেন, আমি খুবই দরিদ্র পরিবারের মেয়ে। আমি সবসময় এটা স্বীকার করি। এটা বলতে আমার কোন দ্বিধা নেই। কিন্তু আমার আত্মসম্মান আছে। অনন্ত সেটা বুঝতে পেরেছিল। আর কখনও অনন্ত এসব বিষয়ে কথা শুনালে হয়তো আমাদের সংসারটাই টিকত না। ও আমাকে শুরু থেকেই সেই সম্মানের জায়গাটা দিয়েছে।
প্রথমত, আমরা আমাদের পরিবারের সুখ এবং স্বাচ্ছন্দ্যকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলাম। জীবনের এই পরিচয় কিংবা জনপ্রিয়তার মোহও বেশি দিনের না। কিন্তু অনন্ত আমার আজীবনের ভালোবাসা। আমি তার সাথে বৃদ্ধ হতে চাই। কিন্তু বৃদ্ধ বয়সে এসবের কিছুই থাকবে না। থাকবো শুধু আমি আর অনন্তকাল।