জাতীয় পার্টির ১১ জন সংসদ সদস্যের মধ্য থেকে কোনো আইনে বিরোধী দলীয় নেতা ও উপনেতা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ জাতীয় পরিষদের স্পিকার ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে এই নোটিশ পাঠান। কোনো জবাব না পেলে ২৮ জানুয়ারি প্রকাশিত গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও দলের কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে উপনেতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ভারতের লোকসভায় ১০ শতাংশ সদস্যসহ দ্বিতীয় স্থানে না থাকলে বিরোধী দলীয় নেতার পদ খালি থাকে, এমন আইন আছে। কিন্তু আমাদের দেশে নিয়োগের আইন নেই বা কত সংখ্যক এমপি থাকলে বিরোধীদলীয় নেতা হতে পারবে তাও উল্লেখ নেই। সংসদে আইন করতে হবে, কতজন সংসদ সদস্য থাকলে বিরোধীদলীয় নেতা হতে পারবেন। আইন না করা পর্যন্ত সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার পদ ভারতের মতো খালি থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই নিয়োগের ফলে সরকারের গাড়ি–বাড়ি ও অর্থ অপচয় অপচয় হয়। জাতীয় পার্টি ১০ শতাংশ আসনও পায়নি। এমন একটি আইন থাকতে হবে যেখানে ৩০০ আসনের মধ্যে কমপক্ষে ৩০ জন সংসদ সদস্য বিরোধীদলীয় নেতা হবেন, বা পুনরায় নির্বাচন দিতে হবে।