দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি পেয়েছে মাত্র ১১টি আসন। ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই আলোচনা চলছে- কারা হবে নতুন সংসদের বিরোধী দল?
সোমবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে তেজগাঁও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের রেজাল্ট অফিসিয়ালি ঘোষিত হওয়ার পর বলা যাবে বিরোধী দল কারা হবে? অলরেডি বর্তমান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির অনেকই জিতেছেন, চৌদ্দ দলেরও দুজনের মতো জিতেছেন। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় তো দূরে নয়। যিনি লিডার অব দ্যা হাউজ হবেন তিনি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। নতুন প্রধানমন্ত্রী, নতুন লিডার অব দ্যা হাউজ পরিস্থিতি বাস্তবতা বুঝে করণীয় ঠিক করবেন, সিদ্ধান্ত নেবেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জনগণের প্রতিনিধি। তারা নির্বাচিত। নির্বাচিত সদস্য হিসেবে তারা সংসদে বসে তাদের ভূমিকা পালন করবেন। এছাড়া এই মুহূর্তে অন্য কিছু নিয়ে ভাবার সময় নেই।
‘২৯৯ আসনের মধ্যে ২২৩টি একটা রাজনৈতিক দল জিতেছে। সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী কত? অনেকেই মন্তব্য করেছিলেন, আওয়ামী লীগের চেয়ে স্বতন্ত্রই জিতবে বেশি। আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগই। ২২৩ জন রুলিং পার্টি থেকে জেতা এটা তো একটা পজিটিভ বাস্তবতা।’
কোন পদ্ধতিতে কীভাবে বিরোধী দল করা হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পদ্ধতিটা আমি কেন আপনাকে বলব? এটা নতুন সরকার বসুক। সংশ্লিষ্ট যারা আছে তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করবেন। বাস্তবতার নিরিখে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন।
বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের নিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, এটা স্বীকৃতির জন্য নয়, আন্তর্জাতিক বিশ্ব জানতে চায় আমাদের নির্বাচন কেমন হয়। আমরা বলেছি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। নির্বাচন পরিচালনা করবে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। গণতান্ত্রিক বিশ্ব সাক্ষী হোক আমাদের কথার সঙ্গে কাজের মিল আছে কি না, তাই আমরা করেছি।
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মন্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশি-বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকরা সবাই নির্বাচন দেখেছেন, প্রত্যক্ষ করেছেন এবং আপনাদের বিবেক আছে। পরিস্থিতি বোঝার ক্ষমতা আছে। নির্বাচনটা কেমন হয়েছে। তীব্র বিরোধিতা ও নির্বাচনবিরোধী সন্ত্রাসী তৎপরতা সত্ত্বেও নির্বাচন কতটা শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও অবাধ হয়েছে তা আপনারা নিজেই প্রত্যক্ষ করেছেন। যা সত্য তা আপনারা সবই জানেন। আর যা কিছু মিথ্যাচার আপনারা দেখছেন। তারা এখনও মিথ্যাচার করে চলেছেন। জনগণের রায় অমান্য করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর হুমকি দেয়। আমরা যেকোনো মূল্যে সব ধরনের সহিং”সতা, স”ন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মোকাবিলা ও পরাস্ত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যা বলেছে তাতে দেশ চলবে না। বিএনপি যা বলেছে, তাদের আন্দোলন করে সরকার হটানো, এটা তো তারা পারেনি করতে। তারা আরও বলছে, এই নির্বাচন তারা হতে দেবে না। নির্বাচন শুধু হতে দেওয়া নয়, নির্বাচন হতে দেবে না, প্রতিহত করবে; সবই তো বলেছে। কোনটা সত্য হলো, বলুন?