ধানের শীষের এমপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ সংসদে ভিন্ন ধরনের বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় এসেছেন। তিনি এক সময় ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় নেতা ছিলেন এবং এক সময় তিনি ডাকসুর ভিপি হিসেবেও মনোনীত হন। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হলেও তিনি বিএনপির রাষ্ট্রীয় মেরামত কর্মসূচির বিষয় নিয়ে সংসদে দাঁড়িয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন। গতকাল সোমবার সংসদের বৈঠকে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বিএনপি নেতৃত্বের সমালোচনা করেন।
তিনি গণফোরাম থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হলেও গত সংসদ নির্বাচনে তার প্রতীক ছিল ধানের শীষ। গত ১১ ডিসেম্বর সংসদ থেকে বিএনপির সাত সংসদ সদস্য পদত্যাগের পর বর্তমান সংসদে তাদের আর প্রতিনিধিত্ব নেই। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আরেক এমপি গণফোরামের মোকাব্বির খান দলীয় প্রতীক উদীয়মান সূর্য নিয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন।
সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বলেন,‘বাংলাদেশকে মেরামত করতে হবে। কাদের কাছ থেকে শুনছি? ৭৫ এর খু”/নিদের কাছ থেকে শুনছি। মেরামত শব্দটি সাধারণত পরিবারের সাথে বাড়ির মেরামতকে বোঝায়। তারা কী সেই মেরামত করতে চায়? ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যেটা ঘটিয়েছিলেন সেটা ঘটিয়ে। খু”/নি জিয়া মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে যেভাবে পরিবর্তন আনতে চেয়েছিলেন, তারা কি সেই ভাবে মেরামত করতে চান? জিয়ার দুঃশাসনে যে কারফিউর গণতন্ত্র, তারা কি সেই স্বৈরতন্ত্র করতে চান? তাদের কথা শুনলে মনে হয় সেদিকেই যাচ্ছেন।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সুলতান মনসুর বলেন, ‘এক দল, দুই দল, ৫৪ দল বিভিন্ন দল করছে, আমি আজ সংসদে দাঁড়িয়ে বলতে পারি, পাকিস্তানি আন্তর্জাতিক সন্ত্রা”/সী দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশের রাজনীতি যারা পরিবর্তন করতে চান, সেই পাকিস্তানি ধারার রাজনীতি আর এ দেশে আসার সুযোগ নাই। যারা এ ধরনের রাজনীতি করেন তাদের উদ্দেশ্যে শুধু এটুকুই বলতে পারি যে, জীবনে কোনোদিন বিএনপির নেতৃত্বে বাংলাদেশ কোনো আন্দোলনে কোনো বিজয় তারা ছিনিয়ে আনতে পারে নাই। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তারা খু”/নি জিয়ার মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে। কিন্তু আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে এদেশে আন্দোলনের সফলতা জনগণের মন-মানসিকতায় তারা কখনোই আনতে পারেনি এবং ভবিষ্যতেও আনার কোনো সুযোগ থাকবে না।
ওয়ান ইলেভেনের ঘটনার সময় তিনি বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ছিলেন। কিন্তু সেই সময় সুলতান মনসুর দলের বিষয়টি উপেক্ষা করে সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে অপসারিত হন। এবার তিনি নতুন করে সমালোচনায় এলেন।