সঠিক ভাবে জীবিকা অর্জনের তাগিদে অনকেই অনেক ধরনের কর্মের সাথে জড়িত থাকে। তবে সরকার-বেসরকারি সকল ক্ষেত্রেই এই শ্রমের বেশ কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম আইনের প্রচলন রয়েছে এক্ষেত্রে। এমনকি আর্নতজাতিক ভাবে শ্রম আইনেরও নানা ধরনের নীতিমালা রয়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে মালিক পক্ষরা এই শ্রম আইন ভঙ্গ করে থাকে। এবং শ্রমিকদের প্রাপ্যে ন্যায্যে মূল্য থেকে প্রতারিত করে। তবে সম্প্রতি এই কর্মক্ষেত্রের জন্য নতুন আইণ পাস করেছেন পর্তুগাল সরকার। এই বিষয়ে বিস্তারিত উঠে এলো প্রকাশ্যে।
সরকারি কিংবা বেসরকারি সব অফিসেই একটা নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ হয়। কিন্তু অধিকাংশ অফিসেই কাজ শেষের পরেও কাজ থেকেই যায়। অফিসের ‘বস’রা অনেক সময়ই অফিসের নির্দিষ্ট সময়ের কাজের পরও ফোন বা মেইল করে কাজের জন্য চাপ দেন। এবার অফিস শেষের পর কাজ থেকে কর্মীদের মুক্তি দিতে নতুন আইন করেছে পর্তুগাল সরকার। নতুন এ আইনে বলা হয়েছে, অফিসের নির্দিষ্ট সময়ের কাজ শেষে কোনো কর্মীকে ফোন, মেসেজ বা মেইল করতে পারবেন না তার বস। গত শুক্রবার এই আইন পাশ হয়েছে পর্তুগাল পার্লামেন্টে। কার্যকর হয়েছে তার পর দিন থেকেই। কাজের বাইরে কর্মীদের ব্যক্তিগত জীবনে সময় দিতে, পরিবারকে সময় দিতেই এই ধরনের আইনে সম্মতি দিয়েছে পর্তুগাল সরকার।
আইনে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো ‘বস’ যদি কর্মীর নির্ধারিত সময়ের কাজ শেষে তার সঙ্গে কোনোভাবে যোগাযোগ করেন, তা হলে সেটা গুরুতর অপরাধ হিসেবে ধরা হবে এবং প্রয়োজনে জরিমানা করা হতে পারে। নতুন আইনে বলা হয়েছে, কর্মীদের ব্যক্তিগত জীবন এবং গোপনীয়তাকে সম্মান জানাতে হবে মালিক বা ‘বস’কে। তাই কাজ শেষে ইচ্ছে হলেই কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন না তারা। এ ছাড়াও কোনো কর্মী যদি মনে করেন তিনি যেকোনো জায়গা থেকে অফিসের কাজ করবেন, তা হলে তাকে প্রয়োজনীয় পরিষেবা দেওয়ার দায়িত্ব বর্তাবে মালিক বা ‘বস’-এর ওপর। শুধু তাই নয়, বাড়ি থেকে অফিসের কাজ করতে গিয়ে যদি অতিরিক্ত খরচ হয়, তাহলে সেই অতিরিক্ত খরচও বহন করতে হবে মালিককে। কানাডাতেও একই আইন প্রযোজ্য আছে।
আর্ন্তজাতিক শ্রম আইনে শ্রমিকদের দৈনিক ৮ ঘন্টা হারে কর্মঘন্টার উল্লেখ রয়েছে। এবং এর অতিরিক্ত সময় কাজ করলে ওভার টাইম হিসেবে বিবেচিত হয়। এবং শ্রমিক এক্ষেত্রে অধিক টাকা প্রদান করতে হয় মালিকপক্ষকে। তবে অনেক ক্ষেত্রে কর্মস্থল ত্যাগ করার পরও মালিক পক্ষ কাজের উদ্দেশ্যে কর্মীদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে থাকে। এমন কর্মকান্ডের অবসান ঘটাতে নতুন আইন জারি করেছেন পর্তগাল সরকার।