সংসদে অধিবেশন চলাকালে সম্পূরক প্রশ্নোত্তর পর্বে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন বলেন, ফেসবুকে যে কোনো অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড ছাড়া বোঝা যায় না, এটা কার অ্যাকাউন্ট। বিশেষ করে যখন বঙ্গবন্ধুর পরিবারের কারও নামে একাধিক অ্যাকাউন্ট থাকে, তখন ভেরিফায়েড ছাড়া আরও বোঝা যায় না কোনটা রিয়াল। কিন্তু ভেরিফাই করা ছাড়া বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের নামে নামে যে কেউ অ্যাকাউন্ট খুললে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হবে। বিশেষ করে সায়মা ওয়াজেদ পুপুতুলের নামে একাধিক অ্যাকাউন্ট লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন এই সংসদ সদস্য।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নাম উল্লেখ করে সুমন বলেন, গত তিন মাস ধরে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে একটি পেজ কাজ করছে। ওই পেজে ৬১ হাজার ফলোয়ার। সেখানে পজিটিভিই লেখা হচ্ছে। কিন্তু যদি উনার (সায়মা ওয়াজেদ পুতুল) অ্যাকাউন্ট না হয়ে থাকে, তা হলে তথ্য মন্ত্রণালয় কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেবে কিনা। তা ছাড়া বঙ্গবন্ধুর পরিবারের যে কারও নামে কোনো অ্যাকাউন্ট খুললে কী ধরনের ব্যবস্থা নেবেন।
রাজনীতিতে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, “এই বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা দেখেছি, বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের নামে যে অ্যাকাউন্টগুলো খোলা হচ্ছে, সেগুলোতে ইতিবাচকভাবে প্রচার করা হচ্ছে। তবে সেটি নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। এটি কোন উৎস থেকে ওপেন করা হয়েছে। সেই তথ্য নিশ্চিত করে কাজ করা হবে বলে প্রতিমন্ত্রী আশ্বস্ত করেন।
প্রসঙ্গত, হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচনের মাধ্যমে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।