বাংলাদেশের জনগণ তাদের সার্বভৌম শক্তির সর্বোচ্চ প্রকাশ ঘটাচ্ছে এবং প্রয়োজনে আবারও করবে। সময়ের সাথে সাথে তারা সেই জায়গায় পৌঁছানোর পথ খুঁজে নেবে। তবে সমাজকর্মী ও লেখক পিনাকী ভট্টাচার্য মন্তব্য করেছেন, যারা তথাকথিত সংবিধানের কমফোর্ট জোনে থাকতে চান তারাই নতুন হাসিনা তৈরির চেষ্টা করছেন।
পিনাকী ভট্টাচার্যের পোস্টটি অনলাইন পাঠককদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে বিপ্লবের পক্ষে থাকা কারোর বিরুদ্ধে আপাতত কিছু বলবো না। কিন্তু এখন দেখছি উপায় নাই। অবশ্য যারা জুলাই আগষ্ট বিপ্লবকে আদৌ বিল্পব বলে মানতে চান না, তাদের নিয়া লিখতে তো বাধা নাই।
রাজনীতি কর্পোরেট বিজনেস না। আমি দুই জায়গারই লোক। দুই জায়গাতেই হাইয়েস্ট জায়গায় খেলার লোক। বগুড়ার মেঠো ভাষায় কথা বলি জন্য আমারে ভালশুন ভাবার কোনো কারণ নাই। রাজনীতিও জান দিয়া করছি যেই রাস্তায় আপনাদের অনেকেরই হাঁটার সাহস বা হিম্মত হয় নাই। কর্পোরেটেও দুনিয়ার সেরা জায়গায় কাজ করছি আপনাদের চাইতে বেশি সময় নিয়া। আমার বিরুদ্ধে যারা কামান দাগতেছেন, তাদের বলি, আক্কেল, অভিজ্ঞতা, চর্চা এর কোনটাতেই আমি পিছায়ে নাই। এইটা মাথায় রাইখেন ভাইজানেরা।
জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতার উপরে কোনো শক্তি নাই ইহজগতে। ওয়াকার সাহেব কেন আর্মিও বাংলাদেশের জনগণের সার্বভৌম শক্তির অধীন। বাংলাদেশের জনগণ তার সার্বভৌম শক্তির সর্বোচ্চ প্রকাশ করছে। দরকার হলে আবার করবে। সেই জায়গায় যাইতে দেরি হইলেও তারা যাবে।
সংবিধান আমাদের ডেমোক্রেসি সোশ্যাল কন্ট্রাক্টকে রক্ষা করতে পারে নাই। তাই এই সংবিধানকে ঊর্ধ্ব তুলে ধরে যারা তারা বিপ্লব বিরোধী। তারা আগের অবস্থা বজায় রেখে লুটপাটের ঐতিহ্যকে চলমান রাখতে চায়।
বিদেশ থেকে যাওয়া সাংবাদিক বঙ্গভবনে যায়া বলছে চুপ্পুরে ডাক, এই শুনা চুপ্পু স্যান্ডেল পরে বাইর হইয়া আসছে। এইসব গালগল্প আপনাদের নাতি নাতনিদের শুনাইয়েন, আমাদের না।
৫ আগস্ট ছাত্র, আর্মি আর বিএনপি সাংবিধানিক ধারাবাহিক রাখার ঐক্যমত করছে। এইটা মিছা কথা। ডাহা মিছা কথা। আর ঐক্যমত করলেই আমাদের সেইটা মানতে হবে ক্যান? বিপ্লবের স্টেক হোল্ডার কি শুধু ছাত্র, বিএনপি আর আর্মি?
বর্তমান রাষ্ট্রের সকল কাঠামোর বিনাশ আর নতুন রাষ্ট্র গড়ে তোলা ছাড়া বাংলাদেশের মুক্তি নাই। বর্তমান রাষ্ট্র কাঠামো আর তথাকথিত সংবিধানের কমফোর্ট জোনে যারা থাকতে চায় তারা আরেকটা হাসিনা বানানোর পাঁয়তারা করতেছে।
আমরা নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়বোই। এইটাই এই গণতান্ত্রিক বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা। আমাদের এই গণতান্ত্রিক নতুন রিপাবলিক তৈরির পথে যারাই বাধা হয়ে দাঁড়াবে তারা আমাদের রাজনৈতিক শত্রু।