বাংলা ছোট পর্দার অত্যন্ত জনপ্রিয় ও খ্যাতিমান অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। নিপুন অভিনয়ের মধ্যদিয়ে ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই রয়েছন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। তবে এদিকে গত শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) ভয়াবহ এক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন সবার প্রিয় এই অভিনেত্রী। যদিও সৌভাগ্যবশত এ যাত্রায় প্রাণে বেঁচে যান তিনি। তবে দুর্ঘটনার ঘোর যেন কাটছে না তার।
ফারিনের মতে, দুর্ঘটনার সময় তার বাবা-মা তার সাথে না থাকলে সে হয়তো বাঁচতে পারতো না। আর প্রাণে বাঁচলেও হয়তো তার পা থাকতো না কিংবা কখনও মাতৃত্বের স্বাদ পেতেন না।
এ বিষয়ে বিস্তারিত লিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন এই অভিনেত্রী। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমার ভাই যদি গতকাল এক সেকেন্ডের মধ্যে আমাকে পেছন থেকে না টেনে না আনতেন বা আমার বাবা আমাদের দুজনকে ঠেলে না দিতেন তাহলে আজ এই স্ট্যাটাস লিখতে আমি বেঁচে থাকতাম কিনা জানি না। হয়তো আমি থাকতাম। কিন্তু আমার পা থাকত না বা আমি কখনই মা হতে পারতাম না। সেই পরিস্থিতির ভয়াবহতা হয়তো কথায় বা লেখায় বোঝানো সম্ভব নয়।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে যমুনা ফিউচার পার্কের দোতলা থেকে নিচতলায় যাওয়ার সময় গেট দিয়ে প্রবেশ করা মূল এসকেলেটরে দুর্ঘটনা ঘটে। আমি জানি না সিঁড়ির নিচে এটা অ্যালুমিনিয়াম না স্টিলের, পাত খুলে ধারালো কোণটা আমার পায়ে আঘাত করল।
আমি সিঁড়ির ডান দিকে ছিলাম। এবং ঐটা ছিল ঊর্ধ্বগামী ছিল। সংঘর্ষ হয় এবং আমার প্যান্ট ছিঁড়ে যায়। এবং পায়ের বিভিন্ন জায়গা এবং গভীর কাট হয়, যা আমি পরে অনুভব করেছি।
কিন্তু ওই মুহূর্তের শুধু একটা ইমেজ আমার মাথায় ঘুরে ফিরে বারবার আসছে তা হলো কিছু বোঝার আগে সবাই গগনবিদারী চিৎকার করে উঠল। আমি দেখলাম ডান পা স্ক্র্যাচ করে পায়ের পাশ দিয়ে মাঝখান হয়ে বাম পায়ের উপরের দিকে একটা পাত ঢুকে যাচ্ছে। আর চলন্ত সিঁড়িটিও আমাকে আরো সেদিকেই ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে।’
উল্লেখ্য, মডেলিংয়ের মধ্যদিয়ে যাত্রা শুরু করেন তাসনিয়া ফারিণ। পরবর্তীতে ছোট পর্দায় বেশ ভালো ভাবেই জায়গা করে নেন তিনি। বর্তমানে বিশাল সংখ্যাক এক অনুসারী গড়ে উঠেছে তার।