বাংলাদেশের ঢাকাই সিনেমার বহুল আলোচিত ও জনপ্রিয় অভিনেতা জায়েদ খান। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে ঢাকাই সিনেমার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। এবং তিনি অভিনয় করেছেন বেশ কয়েকটি সিনেমায়। তিনি সিনেমার পাশাপাশি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারন সম্পাদক হিসেবে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। এবারের নির্বাচনেও তিনি অংশগ্রহন করেছেন। এবং জানালেন বেশ কিছু কথা।
আদালতের রায়ের ওপর নির্ভর করছে ১৮৪ জন চলচ্চিত্র নির্মাতার ভাগ্য। এদিকে মিশা সওদাগর-জায়েদ খান কমিটির সাধারণ সদস্যের পদ স্থগিত করা কেন বেআইনি হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। যারা বাদ পড়া শিল্পী ২০১৯ সালের নির্বাচনে ভোটদান থেকে বিরত ছিলেন। তারা এখন তাদের অধিকার ফিরে পেতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। প্রতিদিনই এফডিসিতে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। এ নিয়ে মুখ খুলেছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জায়েদ খান। “১৮৪ নম্বর ভুল,” তিনি বলেন সংখ্যাটি ১৩০ এর মত হবে। আমি সঠিক সংখ্যা না দেখে বলতে পারব না। তবে এটি ১৩০ এর আগে এবং পরে হবে। এবং সবাই জেনেশুনে ১৮৪ নম্বর নিয়ে লাফ দেয় না। ১৮৪ জনের মধ্যে উচ্চাকাঙ্ক্ষী সদস্যও রয়েছেন। জায়েদ খান বলেন, ‘অকারণে কাউকে বাদ দেওয়া হয়নি। নিয়ম মেনেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। কারণ শিল্পী সমিতির সদস্য হতে হলে একজন অভিনেতার একটা মান থাকতে হয়। শিল্পী সমিতির সদস্যপদ সামান্য ভূমিকা পালন করে পাওয়া যায় না। ‘
অভিনেতা আরও জানান, তার ড্রাইভারও ২০টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। আমার ড্রাইভার ২০টি সিনেমায় গাড়ির দরজা খুলেছে, আমি কি তাকেও সদস্য করতে পারি? যারা দরজা খোলার মতো ছোট ভূমিকা পালন করেছেন, আমি তাদের এই মুহূর্তে সদস্য করতে পারব না। নিয়ম আছে, সংবিধান অনুযায়ী তাদের সদস্যপদ দেওয়া হবে। এদিকে আগামী ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে মোশন পিকচার আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন। এবার দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুন আক্তার ও মিশা সওদাগর-জায়েদ খান। এ উপলক্ষে শিল্পী সমিতি নির্বাচনকে সামনে রেখে দিনরাত ব্যস্ত এফডিসি। নিজস্ব প্যানেলে প্রচারণা চালাচ্ছেন চলচ্চিত্র নির্মাতারা।
কাঞ্চন-নিপুন প্যানেলে সহসভাপতি নির্বাচিত হবেন অভিনেতা রিয়াজ ও ডিএ তায়েব। সাইমন সাদিক সহ-সাধারণ সম্পাদক, শাহনূর সাংগঠনিক সম্পাদক, নীরব হোসেন আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, আরমান দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক, ইমন সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক এবং আজাদ খান কোষাধ্যক্ষ। এছাড়াও কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যরা হলেন অমিত হাসান, ফেরদৌস আহমেদ, শাকিল খান, নানা শাহ, আফজাল শরীফ, সাঁকো পাঞ্জা, জেসমিন, কেয়া, পরীমনি, গাঙ্গুয়া ও সিমন্ত। অন্যদিকে মিশা-জায়েদের প্যানেলে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে লড়ছেন ডিপজল ও রুবেল। সুব্রত, সাংগঠনিক সম্পাদক আলেক জান্ডার বো, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জয় চৌধুরী, অফিস ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক জাকির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ পদে ফরহাদ হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এছাড়াও কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যরা হলেন- রোজিনা, অঞ্জনা, সুচরিতা, অরুণা বিশ্বাস, মৌসুমী, আলীরাজ, আসিফ ইকবাল, বাপ্পারাজ, নাদের খান, চুন্নু, হাসান জাহাঙ্গীর।
তিনি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারন সম্পাদক পদ গ্রহনের পর থেকে প্রায় সময় নানা ইস্যু নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন। সম্প্রতি শিল্পীদের চাঁদার টাকার রশীদ নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন তিনি। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন জায়েদ খান নিজেই। এবং এবারের নির্বাচনকে ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।