বাংলাদেশের বিশেষ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী র্যাবসহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির উপর উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে, যেটা প্রত্যাহারের জন্য চেষ্টা করে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রত্যাহার করাতে সক্ষম হয়নি। এদিকে যেসব কারণ উল্লেখ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তার থেকে গুরুতর কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে থাকে দেশটির আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা, এমন ধরণের অভিযোগ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আমেরিকা যু”দ্ধপ্রেমী দেশ। সব দেশের মধ্যে যু”দ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করাই তাদের প্রধান কাজ। যু”দ্ধ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি চলে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে শেখ হাসিনা সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, কিছু দেশ জাতিসংঘকে উপেক্ষা করে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। ফলে বিপদে পড়ছে বাংলাদেশের মতো ছোট দেশ। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশকে বিপন্ন করে তুলছে। তিনি এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
বাংলাদেশে গণহ”/ত্যা নিয়ে বিশেষ কোনো প্রোফাইল নেই উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গণহ”/ত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে এ ধরনের প্রোফাইল তৈরি করা হচ্ছে। তারপর এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সরবরাহ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, সিকিউরিটি কাউন্সিলে কোনো ডেমোক্রেসি নেই। এ সময় তিনি নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের আহ্বান জানান।
তিনি আরো যোগ করে বলেন, সিকিউরিটি কাউন্সিল পরিচালিত হয় ঠিকই কিন্তু সেখানে কোন ডেমোক্রেসি নেই। তার বক্তব্যকালে তিনি সিকিউরিটি কাউন্সিলের বিভিন্ন বিষয়ে সংস্কার করার জন্য আহ্বান জানান। বাংলাদেশের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা একটি অমূলক ভিত্তিহীন বিষয় বলেো তিনি উল্লেখ করেন।