বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের সমালোচনা করে বলেছেন, বর্তমান সরকার নানাভাবে জনগণকে ধোকা দিয়ে যাচ্ছে। তারা অনেক কিছু চেপে রেখে জনগণের সামনে ভিন্ন তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করছে। তিনি আরো যোগ করে বলেন, নির্বাচন এখন আর সুষ্ঠুভাবে হয় না। নির্বাচনের উপর থেকে মানুষের আস্থা উঠে গেছে। তারা এখন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতেও ঘৃণা বোধ করে।
শনিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বং”স করেছে। আগে মানুষ উৎসবের মাধ্যমে ভোট দিত কিন্তু এখন আর ভোট কেন্দ্রে যায় না। ভোট দেওয়াকে ঘৃণা করে। নির্বাচনের প্রতি মানুষের আস্থা নেই।
তিনি বলেন, দেশ গভীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটে রয়েছে। মেগা প্রকল্পের নামে মেগা লু”ট-দুর্নীতি হচ্ছে। দারিদ্র্যের হার দুই শতাংশ বেড়ে ৪২ হয়েছে। তেল-গ্যাসসহ সবকিছুর দাম বেড়েছে। এই সংকট সমাধানে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। দেশের সংকট সমাধানে বিএনপিই একমাত্র বিকল্প।
বিএনপি নেতা বলেন, এই সরকার বাংলাদেশকে স্বৈরাচারী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। সাংবাদিকরা আজ লিখতে ভয় পায়, বিচারপতিরা ন্যায়বিচার করতে ভয় পায়। সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করে ভিন্নমত পোষণকারীদের দমন করছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে এই স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটাতে হবে। আমরা গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চাই।
তিনি আরো বলেন, এ সরকার এখন আর জনগণের সরকার নেই। জনগণের মতামতকে তারা গলা টিপে ধরেছে। এই স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী সরকারকে হটাতে হলে একমাত্র পথ আন্দোলনে নামা। আমরা বিএনপি জনগণকে একটি সুষ্ঠু গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে চাই এবং সেটাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চেষ্টা করতে চাই।