শ্রীমঙ্গলে এক স্কুলছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে এক শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার রাজঘাট ইউনিয়নে অবস্থিত রানার স্কুল অ্যান্ড কলেজে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির এ ঘটনা ঘটেছে। শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ মামলা দায়েরের পর শিক্ষক সয়ন তাঁতীকে আটক করেছে।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ আগস্ট বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরুর আগে শিক্ষক সয়ন তাঁতী সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে স্কুল চত্বরে যৌন হয়রানি ও শ্লীলতাহানি করেন। পরে ওই ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানায়। তার পরিবার, পরিবার প্রধান শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটিকে অবহিত করে এবং এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানায়।
থানায় অভিযোগ করা হলে সোমবার বিকেলে সিন্দুরখান বাজার এলাকা থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক সয়ন তাঁতীকে আটক করে থানা পুলিশ। পরে ওই ছাত্রীর মা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে ৪ সেপ্টেম্বর শ্রীমঙ্গল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১০ ধারায় মামলা করেন। বলা হয়, অভিযুক্ত শিক্ষক সয়ন তাঁতী বিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
রানার স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল হক বলেন, ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির বিষয়টি আমরা জানতে পেরে প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা নিশ্চিত হওয়ায় তাকে শিক্ষকতা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানায় খবর দিলে পুলিশ তাকে আটক করে।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক সয়ন তাঁতীকে সোমবার শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে।