ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ উন্নয়নের নামে দেশের কোটি কোটি নিজেদের পকেট ভরেছেন যার কারনে দেশ আজ অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়েছে বলে দাবি বিএনপি। আওয়ামীলীগ সরকার মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা তাদের নেতাকর্মীর পকেটে ভরার রাস্তা তৈরী করে দিয়েছে। সরকারী দলের নেতারা বিদেশে টাকা পাচার করার কারনে দেশে বির্জাভ সংকট হয়েছে। বিদ্যুৎ সেক্টরে দুর্নীতির কারনে আজ দেশের মানুষ লোডশেডিং এ কষ্ট দুর্ভোগ করছেন। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে বলে মন্তব্য করে যা বললেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।
বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেছেন, সরকার প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি করছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়েছে। কুইক রেন্টাল নামে কুইক চুরি করছে। ৫৪ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। সুইচ ব্যাংকে এখন আর টাকা রাখার জায়গা নাই। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাও ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। রাতে ভোট হয়। সব ক্ষেত্রেই সরকার ব্যর্থ।
রোববার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি। বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেল, ফতুল্লা যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম টিটু, জেলা যুব সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান রনি প্রমুখ।
সোহেল বলেন, বন্দরনগরী নারায়ণগঞ্জ নানা কারণে জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু এই নারায়ণগঞ্জ এখন আর উন্নয়নের নারায়ণগঞ্জ হিসেবে পরিচিত নয়। এখন এটি গডফাদার ও গডমাদারের শহর হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে। একসময় নারায়ণগঞ্জের ভালো মানুষ আর চুপ করে বসে থাকবে না। এখানকার গডফাদার ও গডমাদারের সাম্রাজ্যের পতন ঘটাবে।
হাবিব উন নবী নারায়ণগঞ্জের দলীয় নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শিগগিরই নির্দেশনা দেবেন। তখন আমাদের মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। প্যাকেজ করে আমাদের নেত্রীর যেমন মুক্তি আদায় করতে হবে, তেমনি আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরবে সেই সঙ্গে সরকারের পতন ঘটবে। তাই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে বলবো আপনারা কাপড় চোপড় রেডি রাইখেন। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট কিন্তু পালানোর সময়ে কাপড় পাননি। আপনারা যাতে পান সেটা রেডি করে রাইখেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, সুষ্ঠু ও সুস্থ নির্বাচন দিন, নইলে ইতিহাস আপনাদের রেহাই দেবে না।
নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি বলেন, আমরা যখন ঐক্যবদ্ধ থাকি তখন এই কুলাঙ্গার আওয়ামী লীগ আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে। একটি কুচক্রী মহল আমাদের সমাবেশে বাধা দেয়। কেউ যদি মনে করে আমি একজন বড় নেতা, তাহলে মাঠে এসে দেখুন আপনি কত বড় নেতা।যারা আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করে চলে তারাই উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়।
প্রসঙ্গত, দেশের অর্থ লুটপাট করার কারনে দেশের অর্থনীতিতে সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে হটিয়ে নিরপেক্ষ সরকারে অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে সরকারকে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি নেতা হাবিব উন নবী খান সোহেল।