বর্তমান হেলিকপ্টারের চড়াটা নতুন কিছু নয়। সম্প্রতি প্রায় সময়ই দেখা যায় বিভিন্ন জায়গায় হেলিকপ্টারে করে বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছে এমন সব চাঞ্চল্যকর খবর। এবার পাওয়া গেল আরেকটি ভিন্ন ধরনের খবর যদিও এখানেও রয়েছে হেলিকপ্টার ইস্যু। তবে এখানে শশুরের জানাজায় অংশ নিতে ছুটে এসেছেন হেলিকপ্টারে করে। যেটা আলোড়ন সৃষ্টি করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
বাগেরহাটের শরণখোলায় শ্বশুরের জানাজায় অংশ নিতে হেলিকপ্টারে ছুটেছেন জামাতা সৌদি প্রবাসী মো. জামাল নুর।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) জুমার নামাজ শেষে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পৌঁছান তিনি। পরে তিনি এ মাঠে অনুষ্ঠিত শ্বশুরবাড়ির জানাজায় অংশ নেন।
এর আগে সকাল ৯টায় সৌদি আরব থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
সৌদি প্রবাসী মো. জামাল নূরের শ্বশুর হাফেজ মোঃ রুহুল আমিন বুধবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে খুলনা সিটি কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। শ্বশুরের মৃত্যুর খবর শুনে তিনি দেশে ফেরার চেষ্টা করেন। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বাংলাদেশে আসেন তিনি। হাফেজ রুহুল আমিনের জানাজা তার মৃত্যুর দুই দিন পর অনুষ্ঠিত হয় যাতে জামাল নূর তার শ্বশুরবাড়ির জানাজায় অংশ নিতে পারে, পরিবার জানিয়েছে।
হাফেজ রুহুল আমিন দীর্ঘদিন ধরে রায়েন্দা বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। তিনি একজন সৎ ব্যবসায়ী হিসেবে এলাকাবাসীর কাছে প্রশংসিত ছিলেন।
তার জামাই জামাল নূর ১৫ বছর ধরে সৌদি আরবে আছেন, যেখানে তিনি সুপরিচিত ঠিকাদারী ব্যবসা করছেন।
মোঃ জামাল নূর বলেন, মৃত ব্যক্তির দাফন শেষে তাকে দেখার সুযোগ নেই। আমার শ্বশুর আমার বাবার মতো। আমি তাকে দেখতে ছুটে গেলাম। আমি ইতিমধ্যে দুই দিন দেরী. আমি যদি রাস্তা বা নদী পথে আসার চেষ্টা করি তবে অনেক দেরি হয়ে যাবে। সেজন্য হেলিকপ্টারে করে এসেছি। আমার শ্বশুরবাড়ির জানাজায় অংশ নিতে পেরেছি এটাই আমার কৃতিত্ব। মহান আল্লাহর কাছে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।
ব্যতিক্রমী ব্যাপার হলেও এখানে রয়েছে ভিন্ন ধরনের মতবাদ। হয়তো দেরি হলে বাবার মত ভালবাসার শশুরকে হয়তো শেষ দেখা দেখতে পারতেন না জামাল। প্রবাস জীবনে অনেকেই পারেন না আপন জনের মৃত্যুর পর একবার দেখতে। হেলিকপ্টার এর বদৌলতে শেষ দেখার সুযোগটা তো অন্তত পেলেন জামাল।