পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সাবেক ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছিলেন ২০১১ সালে। ক্রিকেটে তিনি কিছুটা বিতর্কে পড়েন এবং সেই সাথে তিনি ইনজুরিতে ক্রিকেট থেকে বেশ কিছুদিন দূরে ছিলেন যার কারনে পাকিস্তানের এই সাবেক ফাস্ট বোলারকে ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে হয়েছিল। একসময় বল করতে দ্রুত গতি তোলা শোয়েব বলেন, তিনি আর কখনও দৌড়াতে পারবেন না।
দৌড় শেষ করার তিনি বিশ্রাম নেওয়ার সময় ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করে ভক্তদের এই দুঃসংবাদ দিয়েছেন ৪৬ বছর বয়সী রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস। তার সম্পূর্ণ হাঁটুই প্রতিস্থাপন করা লাগবে। তাই খুব অল্প দিনের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে যাবেন বলে জানিয়েছেন শোয়েব আক্তার।
শোয়েব লিখেছেন, ‘আমার দৌড়ানোর দিনগুলো শেষ। খুব শিগগিরই অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে যাচ্ছি পুরো হাঁটু প্রতিস্থাপন করাতে।’
ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুত গতির বল করার রেকর্ড শোয়েবের দখলে। ১৬১.৩ কিলোমিটার গতির রেকর্ডটি ভাঙতে পারেননি কেউ। লিজেন্ডারি এই বোলারকে তাই হাঁটুর ওপর ধকল গেছে অনেক। সেটারই প্রভাব পড়তে যাচ্ছে ক্রিকেট থেকে দীর্ঘদিন দূরে থাকার পরও।
এক শোয়েব ভক্ত লিখেছেন, ‘ওই হাঁটুগুলো বিস্মিত করেছিল। আল্লাহ আপনাকে দ্রুত সুস্থ করে দিন।’ আরেক ভক্তের হতাশা, ‘সত্যিই দুঃখ লাগছে কিন্তু আশা করি দ্রুত সেরে উঠবেন।’
উল্লেখ্য, ক্রিকেটে ভবিষ্যতে হাই প্রোফাইলে যাবেন, এমনটাই বিবেচনা করে আখতারের টেস্ট ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৯৯৭/৯৮ পাকিস্তান সফরের ২য় টেস্টের সময় রাওয়ালপিন্ডিতে তার দেশের মাঠে খেলার জন্য তাকে প্রথম বাছাই করা হয়েছিল। তিনি ১৯৯৮ সালের শীতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে অন্তর্ভুক্ত হন, যেখানে তিনি তিনটি টেস্টেই খেলেছিলেন। তিনি উল্লেখযোগ্যভাবে ১৯৯৮ সালে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ানদের বিরুদ্ধে পেশোয়ার টেস্টে ক্ষয়প্রাপ্ত পাকিস্তানি বোলিং আ’/ক্রম’ণের নেতৃত্বে ছিলেন, যেখানে মার্ক টেলর অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে তার বিখ্যাত অপরাজিত ৩৩৪ রান করেছিলেন। পরবর্তীকালে, ৮ টেস্ট এবং ১৬ ইনিংসের পরে, আখতার ১৮ উইকেট সংগ্রহ করেছিলেন।