বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল আছে যার মধ্যে আওয়ামী লীগ হলো অন্যতম এবং এই দলটি বর্তমানে ক্ষমতাসীন দল। তারা পরপর ৩ বার ক্ষমতায় এসে ইতিহাস রচনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলেন দলের প্রধান। দলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও দলের সম্মানের কথা চিন্তাআ করে কাজ করে যাওয়া য়চিত। সম্প্রতি জানা গেল শোক দিবসে চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার হয়েছে।
বরিশালে শোক দিবসের কর্মসূচিতে চাঁদাবাজির অভিযোগে সাবেক এক যুবলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
বরিশাল নগরীর ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সজিব বলেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনি আমার বন্ধু। তবে আগামী নির্বাচনে আমি কাউন্সিলর প্রার্থী। বিষয়টি জেনেও তিনি বিভিন্ন সময় চক্রান্ত করে আসছিলেন।
সজিব বলেন, আমরা কেউ কেউ ২৬ আগস্ট ১৫ ও ২১ আগস্টের শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছি। অনুষ্ঠান আয়োজনে রনি নানাভাবে চেষ্টা করেছেন। অনুষ্ঠান শেষে বাসায় এসে দেখি আমার বাসার সামনে ডিবি ও পুলিশের গাড়ি। আমাকে বাসায় না পেয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজক যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সালেক ভাইয়ের বাসায় গিয়ে তাকে আটক করে।
তিনি বলেন, সারারাত বসে থাকার পর শনিবার বিকেলে কাউন্সিলর রনি থানায় গিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন। আমরা নিজেদের টাকায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। কেফায়েত হোসেন রনির নেতৃত্ব আমরা মানি না বলেই চাঁদাবাজি মামলার মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনির মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি। বার্তা পাঠানো হয়েছে কিন্তু কোন উত্তর পাওয়া যায়নি.
মামলার বাদী ও ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শামীম খান জানান, অনুষ্ঠানের আয়োজক আনোয়ার হোসেন সালেকসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছি। আরো অনেক অজানা অভিযুক্ত. তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছি। যাদের বিরুদ্ধে আমরা মামলা করেছি তারা শোক দিবসের নামে চাঁদাবাজি করেছে।
কাউনিয়া থানার ওসি আবদুর রহমান মুকুল জানান, শোক দিবস পালনে মহানগর আওয়ামী লীগ মাসব্যাপী কর্মসূচি পালন করছে। গত ৫ আগস্ট ৫ নম্বর ওয়ার্ডে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। একই ব্যানারে একই কর্মসূচি আয়োজন করে একটি চক্রের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতার মামলায় সাবেক এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরো ৫ জনের নাম ও ৪/৫ আসামি অজ্ঞাত। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, দলকে শ্রদ্ধা ও ভালো না বাসলে দলের জন্য কখনই ভালো কিছু করা যায় না। আজ যারা বড় বড় রাজনৈতিক নেতা তারা সবাই দলকে ভালোবেসেছিল এবং তা তারা আজ সফলতা অর্জন করতে পেরেছে। কোনো নেতাকর্মীর এমন কোনো কাজ করা উচিত না দলের সুনাম ক্ষুন্ন হয়।