ঢাকাই অভিনেত্রী জয়া আহসানের ক্যারিয়ার গ্রাফের দিকে তাকালে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়, তিনি সবসময়ই তার কাজের গল্প ও নির্মাণকে গুরুত্ব দিয়েছেন। সেটা নাটক হোক বা চলচ্চিত্র। দারিউশ মেহেরজুই আন্তর্জাতিকভাবে গল্পভিত্তিক চলচ্চিত্রের চর্চার পথপ্রদর্শকদের একজন। তাকে ইরানের নিউ ওয়েব ফিল্ম মুভমেন্টের অন্যতম পথিকৃৎ বলা হয়।
সম্প্রতি নৃশংসভাবে ‘খু”ন’ হয়েছেন এই কিংবদন্তি নির্মাতা। শুধু তিনিই নন, তার স্ত্রী ওয়াহিদেহ মোহাম্মদিফারও ‘খু’নে’র শিকার হয়েছেন। ঘটনাটি শুধু ইরানই নয়, বিশ্ব চলচ্চিত্র শিল্পকেও নাড়া দিয়েছে। শোকের হাওয়া জয়া আহসানকেও স্পর্শ করেছে।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) রাতে সোশ্যাল হ্যান্ডেলে দারিউশের একটি ছবি পোস্ট করে অভিনেত্রী বললেন, ‘পৃথিবীজুড়ে নানা খারাপ খবর। মনটা খুবই খারাপ হয়ে থাকে। কিন্তু এর মধ্যেও একটা খবর শুনে একদম শিউরে উঠলাম। কে বা কারা ইরানের বিখ্যাত পরিচালক দারিউশ মেহরজুইকে ‘ছু’রি’ দিয়ে ‘নৃশং”সভা’বে ‘হ”ত্যা” করে’ছে। তাকে একা নয়, একইভাবে হত্যা করেছে তার স্ত্রীকেও। এত অপূর্ব সব সিনেমা বানিয়ে ইরানকে যিনি পৃথিবীর সামনে গর্বের সঙ্গে তুলে ধরলেন, কে তাকে এভাবে হত্যা করতে পারল? এমন একজন মানুষেরও কি এমন নিষ্ঠুর শত্রু থাকতে পারে? মৃত্যুর সময়েও নিশ্চয় দারিউশ মেহরজুই অবাক হয়ে সে কথাই ভাবছিলেন!’
কিন্তু কথায় বলে, কীর্তিমানের মৃত্যু হয় না। এমনটাই জানিয়েছেন জয়া তার নিজের ভাষায়, “যেই তাকে ‘হ”ত্যা” করুক, আমাদের বুকের গভীরে তার মৃ’ত্যু নে।”
এর আগে দারিয়ুশের মৃত্যুর খবর শুনে শোক প্রকাশ করেন ঢাকার সুপরিচিত নির্মাতা মোস্তফা সরিয়ার ফারুকী। বললেন, ‘কী ভয়ংকর খবর! ইরানের নিউ ওয়েব ফিল্ম মুভমেন্টের অন্যতম পথিকৃৎ দারিউশ মেহরজুইকে তার বাড়িতে ”ছু’রি”কা’ঘা’তে হ’ত্যা করা হয়েছে।
এটা অবশ্যই বলা উচিত যে দারিউশের মেয়ে মোনা মেহেরজুই যখন শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাতে তেহরানের বাড়িতে তার বাবা-মাকে দেখতে গিয়েছিল, তখন সে তাদের ‘মৃ’ত’ দেখতে পায়। দুজনের গলায় ছুরির চিহ্ন রয়েছে। ইরানি বার্তা সংস্থা আইএসএনএ জানিয়েছে, এই ঘটনায় চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।